চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালামসহ জোড়া খুনের মামলার আরও ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলার শিবগঞ্জ থানার নয়ারাভাঙ্গা ইউনিয়নের ঢোড়বোনা গ্রামের মোঃ জেন্টু আলীর ছেলে মোঃ আজম আলী (৩৯), একই গ্রামের মোঃ ময়েজ আলী ছেলে মোঃ সাহেব আলী (২২), একই থানার রশিকনগর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মোঃ ফিরোজ (২৮) ও সদর থানার রানীহাটি ইউনিয়নের বোলতলা চকবহরম গ্রামের মোঃ যুবায়ের রহমানের ছেলে মোঃ তাজ হাসান হৃদয় (২১)।
গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডে অব্যবহৃত ৩৮টি ককটেল অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয়। আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে এজাহারভুক্ত চার আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া চারজনই হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।’
তিনি আরও জানান, ‘গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডের আলামত উদ্ধারে গতকাল সোমবার রাতে ও আজ মঙ্গলবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার ঢোড়বোনা পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি কবরস্থানে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৩৮টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ককটেলগুলো হত্যাকান্ডের সময় হত্যাকারীদের সঙ্গে ছিল, তবে সেগুলো বিস্ফোরণের প্রয়োজন হয়নি। ককটেল উদ্ধারের পর আরএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহায়তায় ককটেলগুলো নিস্ক্রিয় করা হয়। তবে এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। অস্ত্রসহ অন্যান্য আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানায় পুলিশ।
গত ২৭ জুন জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি ডিগ্রি কলেজের সামনের গুচ্ছগ্রামে খুন হন নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম এবং তার সহযোগী হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিন আলী। ওই জোড়া খুনের ঘটনায় আব্দুস সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে।