মাসে মাসে মাকে ওষুধ কিনে দেওয়ার জন্য টাকা খরচসহ নানা কারণে মাকে বোঝা মনে হয়েছিল ছেলের। আর এ বোঝা কমিয়ে ফেলতে পরিকল্পিত ভাবে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে।
নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায়। পুলিশ ঘাতক ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ছেলে যতিশ বালাকে গ্রেফতারের পরে হত্যার কারণ সম্পর্কে এ তথ্য জানান।
শুক্রবার রাতে এক প্রেস ব্রিফিং পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, নিহত জুতিকা বালা (৫০) জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের নারায়ন বালার স্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঘরের মধ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করে নিহতের বড় ছেলে যতিশ বালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে যতিশ পুলিশের কাছে তার মাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পুলিশের কাছে অভিযুক্ত যতিশ স্বীকারোক্তিতে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আর্থিক নানা সংকট ছিল তাদের। এর মধ্যে মাসে মাসে তার মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বেশ টাকা খরচ হতো। এ ছাড়াও পরিবারে নানা কলহ ছিল। এসব কারণে তার মায়ের উপরে ক্ষোভ ছিলো। তাই পূর্বপরিকল্পিকভাবে বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে থাকা দা দিয়ে তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করে যতিশ।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম আরও জানান, যতিশ তার মাকে বোঝা মনে করতো। এ বোঝা থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল যতিশ। হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে হত্যার কারণ উদঘাটন ও ঘাতক ছেলেকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহ আলম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্বামী নারায়ন বালা বাদী হয়ে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।