আশরাফুল ইসলাম, শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ হতে গোড়পাড়া সড়কের পৃথক দুটি স্থানে বেতনা নদীর উপর চলমান ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার আগেই প্রায় দুই মাস ধরে নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বহুদিন পরে উপজেলার কাজিরবেড় ও গাতিপাড়া সহ এ অঞ্চলের মানুষের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য থমকে গেছে নির্মাণ কাজ।
ফলে এই সড়ক ব্যবহারকারী সহ স্থানীয় মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠাই অতিদ্রুত ব্রীজ দুটির নির্মাণ কর্যক্রম শেষ করার দাবী জানান এ অঞ্চলের মানুষ।
সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শার্শা উপজেলার নাভারণ হতে গোড়পাড়া সড়কের পৃথক দুটি স্থানে ব্রীজ নির্মাণের কাজ গত বছরের ৯ জানুয়ারি ২০২২ এ শুরু হয়ে আগামী ৩ জুলাই ২০২৩ এ শেষ করার তারিখ নির্ধারণ করে যশোরের আইসিএল প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘদিনের পুরাতন ও ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ ভেঙে ৬০ মিটার লম্বা ব্রীজ দুটি তৈরির কাজ হাতে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি)। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি একই সাথে দুটি ব্রীজের কাজ শুরু করলেও শুরু থেকেই নির্মাণ কাজ কচ্ছপ গতিতে চালিয়ে আসছিলো প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে ব্রীজ নির্মাণ কাজের নির্ধারিত বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে গেলেও কার্য্যজটিলতায় দুটি ব্রীজের কাজ সব মিলিয় ৮০ ও ৬০ শতাংশে এসে থেমে রয়েছে।
দুই গ্রামের লোকজনের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপেক্ষিতে এবং এলাকায় উৎপাদিত নানা কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় দীর্ঘদিন যাতে কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্যে না পড়তে হয় এজন্য নিরলসভাবে ব্রীজ দুটি বাস্তবায়নে কাজ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ।
তবে ব্রীজ দুটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়া ও হঠাৎ করে কার্যক্রম থেমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়ক ব্যবহারকারী সহ এ অঞ্চলের মানুষ। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন যেন ফিকে হতে চলেছে তাদের চোখেমুখে।
এই সড়ক ব্যবহারকারী ও এলাকাবাসীরা বলেন, ব্রীজ দুটির নির্মাণ কাজের বাস্তবায়ন করতে আমাদের অনেক দিন ধৈর্য ধরতে হয়েছে। ব্রীজের পাশাপাশি এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। তাছাড়া এই সড়কে ব্রীজ দুটি দৃশ্যমান হলে ব্যবসা বাণিজ্যে গতিশীলতা বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।
উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুটি ব্রীজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। কার্য্যজটিলতায় সময় পার হয়ে গেলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সামনে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা জানান।
তবে ব্রীজ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ এনে হাইকোর্টে রিট হওয়ার কথা জানান শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের শীর্ষ অফিসার এম এম মামুন হাসান।তিনি বলেন,একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। ব্রীজ দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে দুই গ্রামের মানুষ সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা চৌগাছার সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক রচিত হবে। কার্য্যজটিলতায় কাজ বন্ধ থাকলেও খুব শিঘ্রয় যেন আবারও কার্যক্রম চালু হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।