মোংলা প্রতিনিধি: 'অন্ধত্ব প্রতিরোধ করুন' এ শ্লোগান নিয়ে গত ১৭মে দিনব্যাপী বাগেরহাটের রামপালের বড়দিয়া হাজী আরিফ মাদ্রাসায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবির আয়োজন করে ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাব। ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত এই চক্ষু শিবিরে বাগেরহাটসহ মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা ও খুলনার বটিয়াঘাটা, দাকোপসহ আশপাশ জেলা-উপজেলা থেকে আসা রোগীদের মধ্য থেকে ছানি অপারেশনের জন্য
৫৩০জন রোগীকে বাঁছাই করা হয়।
বাঁছাইকৃত ছানি রোগীদের ২৫মে থেকে ১৩জুন পর্যন্ত ঢাকায় ৩৭৩জনকে 'ডাস আই হাসপাতাল' এ বিনামুল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ঔষধ ও সেবা দেওয়া হয়। আর এ চক্ষু শিবিরে নেত্রনালী ও মাংসবৃদ্ধি অপারেশনের জন্য বাঁছাইকৃত ১২৩জন রোগীর মধ্য থেকে ৮২জন রোগীকে খুলনার স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকে ৩০জুন থেকে ১১জুলাই পর্যন্ত অপারেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বছর মোট ৪৫৫জন রোগীর অপারেশন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর এই অঞ্চলের সুবিধা বঞ্ছিত মানুষের জন্য ঢাকা মেগাসিটি লায়ন্স ক্লাব চক্ষু শিবিরের আয়োজন করে আসছে। এ পর্যন্ত ৬হাজারের অধিক ছানি, নেত্রনালী ও মাংসবৃদ্ধি রোগীর অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ্যতা ও অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেবা প্রাপ্ত শিশুরা বা ছাত্ররা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে, কর্মক্ষম রোগীরা তাদের সংসারে আয়-রোজগার করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বৃদ্ধরাও আমৃত্যু চোখের আলোতে চলাফেরা করতে পারছেন।
ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, হত-দরিদ্র মানুষের পক্ষে ব্যয় বহুল চক্ষু চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তারপরও একটি ক্লাবের পক্ষেও এত রোগীদের প্রতি বছর অপারেশন করানো অত্যন্ত কঠিন কাজ। তাই সমাজের বৃত্তশালী মানুষের কাছে অনুরোধ এই সেবার কাজে আমাদের পাশে দাঁড়ান। অন্যান্য লায়ন্স এবং রোটারী ক্লাবের কাছে আমাদের আবেদন বাগেরহাটের রামপাল-মোংলার এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কয়েকটি চক্ষু ক্যাম্প করার অনুরোধ জানাচ্ছি।