কোটা সংস্কারের দাবিতে ও শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে ঘটে এ ঘটনা। প্রায় ৪০ মিনিট পর বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
একই সময় মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ২০টার দিকে পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে দুইশতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে জড়ো হন। এসময় তারা পদ্মা সেতুর উত্তর থানার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে বসে পড়েন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। এসময় পুলিশ আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ থানার ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেয়। সে সময় থানাকে লক্ষ করে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ থানা থেকে বের হয়ে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মুন্সিগঞ্জ মাওয়ায় সংঘর্ষ, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল ব্যাহত, পুলিশের গুলি
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) জিয়াউল হায়দার বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা পদ্মা সেতু উত্তর টোল প্লাজার মুখে খানবাড়ি এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ১০-১২ মিনিট সেতুতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা বিশৃঙ্খলা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। মহাসড়কের কোথাও যাতে বিশৃঙ্খলা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক পুলিশ।