কিশোরগঞ্জে ভাড়া বাসায় মা এবং ছোট দুই ভাই-বোনকে এক কক্ষে আটকে রেখে অন্য কক্ষে প্রবাসীর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রবাসীর স্ত্রীকে (২৪) কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হারুয়া কসাইখানা রোডের একটি চারতলা ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশকে জানানো হয়। সেদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মো. রাকিব (৩২) ও মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাছ (২০) নামে দুজনকে আটক করে পুলিশ। মো. রাকিব শহরের হারুয়া সওদাগরপাড়ার করিমুল্লাহর ছেলে এবং মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাছ হারুয়া কসাইখানা এলাকার আব্দুছ ছালামের ছেলে।
এ ঘটনায় শনিবার ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জেলার কটিয়াদী উপজেলার ওই নারী বাবা–মা ও ছোট দুই ভাইবোনকে নিয়ে গত ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হারুয়া কসাইখানা রোডের একটি চারতলা ভবনের নিচতলায় একটি ইউনিট ভাড়া নেন। একই এলাকার মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাছ ওই বাসাটিতে গিয়ে পরিবারটির সঙ্গে পরিচিত হন এবং ওই নারীর মাকে ধর্মের মা বানান। এতে আনাছের সঙ্গে পরিবারটির সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার ওই নারীর মামা–মামি বেড়াতে আসেন। পরদিন শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে আনাছসহ ৬ যুবক বাসাটিতে হানা দেন।
এ সময় তারা এই বাসায় খারাপ কাজ হয় বলে ওই নারীর মামা–মামিকে গালিগালাজ করে বাসা থেকে বের করে দেন। পরে সিহাব ও সুমন নামে দুই যুবক বাসার একটি কক্ষে ওই নারীর মা, ছোট ভাই ও বোনকে আটকে রাখে ও হত্যার হুমকি দেয়। অন্যদিকে বাসার অন্য একটি কক্ষে আনাছ, রাকিব, বাছির ও ফারুক এই চারজনে মিলে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকেরা চলে যায়। এরপর মা ও ছোট দুই ভাইবোন তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।