অসুস্থ মায়ের ওষুধ আনতে গিয়ে গত ১৯ জুলাই শুক্রবার ঢাকার উত্তর বাড্ডায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন সোহাগ। তাঁর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের বড়পাহাড়পুর গ্রামে। সোহাগের বাবার নাম রেজাউল মিয়া। তিনি পেশায় রিকশাচালক।
মাস তিনেক ধরে পরিবার নিয়ে উত্তর বাড্ডায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। একটি রঙের কারখানায় কাজ করতেন সোহাগ। মৃত্যুর পরদিন সকালে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে সোহাগের লাশ দাফন করা হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে সোহাগের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাঁর মা-বাবা বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
সোহাগের বাবা রেজাউল মিয়া জানান, শুক্রবার দুপুরের পর উত্তর বাড্ডার ভাড়া বাসা থেকে অসুস্থ মা ছালমা বেগমের ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন সোহাগ। বাঁশতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ডাকা কর্মসূচিতে সৃষ্ট সহিংসতার মধ্যে পড়েন তিনি। গুলিতে আহত হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ছেলের লাশ খুঁজে পান বাবা।
নিজের জমিজমা না থাকায় অন্যের জমিতে ছেলের লাশ দাফন করে সেদিনই ঢাকায় চলে যাই। ছেলেকে হারিয়ে আর ঢাকায় থাকতে পারছি না, তাই আজ সকালে (মঙ্গলবার) বাড়িতে এসেছি।’
সোহাগের মা ছালমা বেগম বলেন, ‘মোর ওষুধ যদি আনবার না গেল হয়, তাহলি তো আর বাবার বুকে গুলি নাগল না হয়। মোর ছোল হামাক ছাড়ি চলি গেল।’
ওই গ্রামের একই মালিকের ভাড়া বাসায় থাকা নুরু মিয়ার ছেলে হিরু মিয়া জানান, গুলিটা সোহাগের বুকের বাঁ পাশে লেগে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।
শানেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মেছবাহুর রহমান জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সোহাগের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে।