হোসাইন মোহাম্মদ দিদার, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাসে নিহতদের স্মরণে শোক মিছিল শেষে এক বক্তব্যে কুমিল্লা-১ আসনের সাংসদ ও আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস বলেছেন, শিগগিরই দেশে শান্তির পরিবেশ তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামাত দেশের উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না। দেশ এগিয়ে যাক তা তারা চায় না। এটা তাদের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। দেশ যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। তখন তারা একের পর এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এমপি সবুর বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর ভর করে বিএনপি জামাত নিজেদের ফায়দা লুটে নেওয়ার জন্য এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে। আমরা অনেকটা এই নৈরাজ্যের ধকল সামলে ওঠেছি।
তিনি বলেন, এটা শোকের মাস। শোকের মাস আসলে অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আমরা অনেক সহ্য করেছি। তাদের এই নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাসের জবাব আমরা রাজপথেও দিতে তৈরি আছি। শান্তি ও সমৃদ্ধির রাজনীতে আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাসী। আমরা শান্তি চাই।
বিএনপি জামাতের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি বলেন, আপনারা তো আপনাদের চারদলীয় জোটের শাসনামলে দেশে লুটের রাজ্য তৈরি করেছিলেন। দেশে উন্নয়ন করতে পারেন নি। আওয়ামী লীগ যখন একের পর এক অসম্ভব সব উন্নয়ন করতে লাগল তখন আপনাদের গা জ্বলে ওঠল। আপনারা এই অপরাজনীতি বন্ধ করুন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে শান্তির পথে ফিরে আসুন।
বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) বিকালে দাউদকান্দি পৌরসভায় এক শোক মিছিল শেষে রাসেল স্কয়ারে প্রধান অতিথির এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. রহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী মাষ্টার, ভিসি ড. আব্দুল মান্নান জয়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আহসান হাবীব চৌধুরী লিল মিয়া, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বশিরুল আলম মিয়াজী, জেলা পরিষদ সদস্য নাছিম ইউসুফ রেইন, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য নাসিরুদ্দিন শিশির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন শিকদার, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিএস সুমন সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খন্দকার শাহজাহান, পৌরসভা প্যানেল মেয়র ও কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিবউদ্দীন রকিবসহ আরো অনেকে।