জামালপুরে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অস্ত্র হাতে ধাওয়া করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল থেকে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের নতুন হাইস্কুল মোড় (জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ছড়িয়ে পড়া ছবির সঙ্গে ওই নেতাদের ছবির মিল নেই বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান।
অভিযুক্ত দুই নেতা হলেন- সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়া ইসলাম রাফি ও ছাত্রলীগ কর্মী নাফিজুর রহমান তুষার।
জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে শহরের নতুন হাইস্কুল এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। এতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের দিকে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত দুই নেতা-কর্মীকে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে ধাওয়া করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান বাবু বলেন, যে ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়েছে তার সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাদের চেহারার মিল নেই। ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীর হাতে অস্ত্র ছিল না।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। যদি কারো হাতে অস্ত্র থাকে, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।