আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: ইউএনও অফিস ও আমতলী থানাসহ সকল সরকারী স্থাপনা পাহারা এবং ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের নেতাকর্মীরা। শিক্ষার্থীরা উপজেলা সড়কের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করছেন। তাদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, গত সোমবার প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পরপরই আমতলী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দৃস্কৃতিকারীরা ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করে। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছিলেন না। ভেঙ্গে পরে আইন শৃংখলা ও ট্রাফিক কার্যক্রম। এমন মুহুর্তে আমতলী উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেতাকর্মীরা তা রক্ষায় এগিয়ে আসেন। ইউএনও অফিস ও আমতলী থানাসহ সকল সরকারী স্থাপনা পাহারা দিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের নেতাকর্মীরা। তারা সড়কের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা পরিস্কার করছেন উপজেলার সড়কের সকল ময়লা আবর্জনা। শিক্ষার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বুধবার তার কার্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় অংশ নেন আল আমিন, রিয়াদ, আসিফ, মুক্তি, তুসি, সাজিদ, মোরসালিন, তানভির ও ইভান প্রমুখ।
বুধবার আমতলী উপজেলা শহর ঘুরে দেখা গেছে, ইউএনও অফিস, থানা ও সকল সরকারী স্থাপনা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেতাকর্মীরা পাহারা দিচ্ছে। আমতলী একে স্কুল চৌরাস্তা, সাকিব প্লাজা, বাঁধঘাট চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তারা দাড়িয়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়ম শৃংখলা মেনেই যানবাহন চলাচল করছে। কোন জ্যাম পরছে না। অপরদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আমতলী উপজেলার শিক্ষার্থীরা উপজেলা সড়কের রাস্তার ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করছেন।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, সুন্দর নান্দনিক আমতলী গঠন করতে কাজ করছি। উপজেলায় কোথাও সমস্যা হলেই আমরা এগিয়ে যাব।
মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম বলেন, এমন দেশই আমরা চাই। সড়কের নিয়ম শৃংখলা মেনেই সকল গাড়ী চলাচল করছে।
ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা ইব্রাহিম খলিল ও সোলায়মান বলেন, দেশটা আমাদের। এ দেশ রক্ষায় এবং শৃংখলা ফেরাতে কাজ করছি।
আমতলী থানা পাহাদার মজিদ গাজী ও বারেক প্যাদা বলেন, পুলিশ আমাদের সারা বছর নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। আমরা এখন তাদের নিরাপত্তায় পাহারা দিচ্ছি।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তরুন আইনজীবি মোঃ রেজাউল করিম রেজা বলেন, ইউএনও আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার স্বেচ্ছায় অংশগ্রহনে আমতলী উপজেলার আইন শৃংখলা স্বাভাবিক পরিবেশ অনেকটা ফিরে আসছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, উপজেলায় আইন শৃংখলা রক্ষায় শিক্ষার্থী ও জনতা নিয়ে কাজ করছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।