হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন। নিরাপত্তাসহ ১১ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ লাইনসে এ কর্মসূচি পালন করনে তারা।
পুলিশ সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা, থানায় হামলাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে হামলাকারীদের বিচারের দাবি করে তারা বলেন, তাদের আলাদা পুলিশ কমিশন গঠনের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু তা করা হয়নি। এ দাবি অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।
তারা বলেন, ‘সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই হত্যার শিকার হয়েছি। আমাদের ছোট ভাইদের ওপর গুলি চালিয়েছি। এই ঘটনার পর আমাদের পরিবার বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছে না।’ রাজনৈতিক প্রভাবে কাজ করতে গিয়ে এমনটা হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত থেকে কাজ করতে চাই।
নিহত পুলিশের পরিবারক ক্ষতিপূরণ এবং তাদের শহীদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ‘নতুন যারা পুলিশের দায়িত্বে এসেছেন, আশা করবো তারা আমাদের দাবিগুলো শুনবেন।
কোটা সংস্কারের ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনায় বিসিএস ক্যাডার পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়ি করে তারা বলেন,তাদের নির্দেশের কারনেই ছাত্রদের উপর গুলি করা হয়েছে। পাল্টা আক্রমন করে তারা পুলিশ মেরেছে। ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ ও শিক্ষার্থী মারা গেছে এবং আহত হয়েছে। পুলিশ সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের
জীবন বিপন্ন হয়েছে। কিন্তু কোন বিসিএস ক্যাডারের কিছু হয়নি।
আহতদের উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, যারা পুলিশ লাইনসে আছেন, তারা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। এই অবস্থার অবসান চাই। পুলিশ হত্যাসহ সব পুলিশি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক। পুলিশের নিয়োগ বিধিমালা বিশেষত সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগ পিএসসির অধীনে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানান পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান ধৈর্য্য ধরে তাদের দাবি শোনেন। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার আশ^াস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশসুপার তারেক আল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, পুলিশ কর্মকর্তা দোলন মিয়া।