ঢাকা
১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৯:৩৭
logo
প্রকাশিত : আগস্ট ৮, ২০২৪
আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২৪
প্রকাশিত : আগস্ট ৮, ২০২৪

রামগড়ে শিশু ফাহিম হত্যার ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে এলাকাবাসী

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,রামগড়(খাগড়াছড়ি): পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে নৃশংসভাবে শিশু ফাহিমকে (১২) হত্যা করা হয়। রামগড় সদর ইউনিয়নের ০৮নং ওর্য়াড় ওয়েফাপাড়া গ্রামে গত মঙ্গলবার সকালে এ নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করেছে এলাকাবাসী।

আটককৃতরা হলেন, ওয়েফাপাড়া গ্রামের মুমিনউল্লাহের ছেলে মো.মাঈনউদ্দিন (১৭), নুরুল আমিনের ছেলে আসাদ উল্ল্যাহ গালিব (১২) সহ অন্য দুই সহযোগী হলেন, শফিকুল ইসলামের ছেলে আজাদ হোসেন উচাইদ (১৬) এবং মীর হোসেনের ছেলে মো.আল ফাহাদ (১৫)কে এলাকা বাসী আটক করে ইউপি সদস্য ও সমাজ প্রতিনিধিদের জিম্বায় স্থানীয় একটি পাড়া কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তায় পাহারা দিয়ে রাখা হয়েছে।

আটককৃত মাঈন উদ্দিন এবং গালিব সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের জানান, গত কয়েক দিন আগে নিহত ফাহিমের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ফাহিম মাঈন উদ্দিনকে  গালাগালি ও মারধর করে। এজন্য পরবর্তীতে মাঈন উদ্দিন ফাহিমের উপর প্রতিশোধ নিতে তাকে হত্যা করার জন্য উচাইদ, ফাহাদ ও গালিবকে সঙ্গে নিয়ে চারজন মিলে হত্যার পরিকল্পনা করেন। একপর্যায়ে গত ৬ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঈন উদ্দিন গালিবকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশে একটি টিলার নিচে তাদের বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড ও মাদকদ্রব্য সেবনের আস্তানায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা পুকুরে গোসলের নাম করে মাঈন উদ্দিন, গালিব তারা দুজনেই ফাহিমকে সঙ্গে নিয়ে পুকুরে নামেন। এবং একপর্যায়ে মাঈন উদ্দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী গালিবকে কোনো লোকজন আসতেছে কিনা দেখার জন্য পাহারা দিতে বলে ফাহিমকে পিছন থেকে পানির নিচে ডুবিয়ে ধরলে একসময় ফাহিম যখন নিস্তব্ধ হয়ে যায় তখন পুকুর থেকে উপরে উঠিয়ে টেনে হিঁচড়ে পাশে টিলার মাঝে জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে গাছের লতা দিয়ে বাঁধার পরও যখন লাশ গোপন করতে পারছে না তখন মাঈন উদ্দিন ফাহিমকে মেরে ফেলেছে বলে উচাইদ এবং ফাহাদকে জানায় এবং তাৎক্ষণিক একটি কোদাল নিয়ে আসতে বলে। যখন কোদাল নিয়ে তারা আসতে রাজি না হওয়াতে পরবর্তীতে লাশটিকে আবারও পাহাড় থেকে নিচে এনে পুকুরের এক কোণে ফেলে রেখে মাঈন উদ্দিন ও গালিব পালিয়ে যায় বলে জানান তারা।   

নিহত ফাহিমের বাবা সাইফুল ইসলাম সহ এলাকাবাসী জানান, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফাহিমকে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে এমনকি বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। এসময় ফাহিমের নিখোঁজ হওয়ার সংবাদটি মূহুর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রাত ৯টার সময় কয়েকজন মহিলা মিলে ওই পুকুরের পাশ দিয়ে ফাহিমকে খোঁজতে গেলে তখন তাঁরা পুকুরের এক কোণে ফাহিমের লাশটি দেখতে পান। পরে লাশটি ওখান থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এবং সকলে ভেবে নিয়েছেন যে পানিতে ডুবে মারা গেছেন। কিন্তু তখনও কেউ জানতেন না ফাহিমকে যে হত্যা করা হয়েছে। পরে ফাহিমের বাবার সন্দেহ হয় যে তার ছেলের গায়ে গেঞ্জি ও পায়ের জুতা কোথায় তখন এগুলো খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে হত্যায় ব্যবহারকৃত আলামত সমূহ যার প্রেক্ষিতে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে এলাকাবাসীর সহযোগিতার আটক করা হয়েছে।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.হানিফ বলেন, আমরা এদের আটক করে তাৎক্ষণিকভাবে রামগড় থানা পুলিশ সহ সেনাবাহিনীকে খবর দিয়েছি। তবে বর্তমান দেশের পরিস্থিতিতে পুলিশ আসতেছে না তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাহেবের সাথে কথা হয়েছে তিনি বলেছেন তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার জন্য আজ রাতে সরকার শপথ গ্রহন করলে আগামীকাল তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে। এজন্য আটককৃতদের নিরাপত্তার জন্য আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একটি টিম গঠন করেছি।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram