তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর বালু মহাল ও টুলটেক্সের নামে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ৮ দফা বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্র জনতা।
শনিবার(১০ আগষ্ট)দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর বরাবর এলাকাবাসী ও ছাত্র জনতার পক্ষে স্মারকলীপি দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত রাহুল ও আজিজুর রহমান কাউসার।
যাদুকাটা নদীর বালি মিশ্রিত পাথর কয়লা সম্পদ মাটি বাল ইজারার নামে এবং বেআইনি নৌকাঘাট ইজরার নামে একটি দুষ্ট চক্র রাতারাতি কোটি কোটি টাকা হরিলুট করে নিচ্ছে। ইহাতে দেশের মুল্যবান সম্পদ লুটসহ পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতি এবং জনসাধারণ, শ্রমিক এবং ব্যবসায়ী জলুমের শিকার হচ্ছে। এই সব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের জন্য
স্মারক লিপিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে,বিগত আওয়ামিলীগ সরকার খনিজ সম্পদ বালু পাথর সমৃদ্ধ যাদুকাটা নদী কিছু অংশকে বেআইনি ভাবে মাটি বালু আইন ২০১০ / ১১ প্রয়োগ করে ইজারা দেয় ইহাতে শুধু মাটি বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও ইজারাদাগন বেআইনি ভাবে বালু ও মিশ্রিত পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে উচ্চ হারে রয়েলেটি আদার করে হাতিয়ে নিচ্ছে দৈনিক কোটি কোটি টাকা। ইজারাকৃত এলাকার বাহিরে খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের গেজেট ভুক্ত এলাকায় বালি মিশ্রিত পাথর উত্তোলন করছে। নদীর পাড় কেটে হাট বাজার গ্রাম ধংশ করা হচ্ছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতিকর ড্রেজারের মাধ্যমে বালি পাথর উত্তোলন হয়। সরকার নির্ধারিত রয়েলিটি আদায়ের তিন গুন বেশি জুলুম করে আদায় করা হয়। ফাজিলপুর ও ঘাগড়া নদীর পাড়ে নৌকা বিড়াইয়া কোনো প্রকার মালামাল উঠানামা হয় না। এই কতিত দুটি নৌকা ঘাটে টুল আদায় করা সম্পূর্ণ বেআইনি। বালু মহাল ও নৌকা ঘাটের ইজারাদারগন চুক্তি পত্রের ভংঙ্গের দায়ে অভিলম্বে তাদের ইজারা বাতিক করার দাবী। সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সড়কে আনোয়ারপুর ব্রীজটি ধংশ হতে রক্ষার স্বার্থে ভাল্কহেড নৌযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।