সোহেল তালুকদার, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার বিএনপির সহ সভাপতি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনা বিগত ১৬ বছর দেশের হাজারো মানুষকে খুন ও গুম করে হত্যা করেছে। ক্ষমতায় থাকতে মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল। গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজারো ছাত্রকে তার পেটোয়া বাহিনী ও কুখ্যাত পুলিশের সহযোগিতায় পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। আন্দোলনের মুখে নিজের ক্ষমতার অবসান করেছে ছাত্র-জনতা। নিজের প্রাণ বাচাতে পালিয়ে গেছেন ভারত। এই খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার এই দেশের মাটিতে করা হবে।
তিনি বলেন, এদেশের মাঠিতে আর আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর রাজত্ব কায়েম করতে দেওয়া হবে না। যারা সরকারি প্রকল্প নয় ছয় করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, ফকির থেকে কোটিপতি হয়েছেন তাদের কাউকে ক্ষমা করবে ছাত্র-জনতা সহ সাধারণ মানুষ। প্রতিটি এলাকায় যারা এমন ক্ষমতা পেয়ে আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তাদের প্রত্যেকই বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে, ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রওশন খান সাগরের সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ আমিনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা ইলিয়াছ মিয়া, ফরিদুর রহমান ফরিদ, আওলাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, বিএনপি নেতা আবদাল মিয়া মেম্বার, শাহিনুর রহমান শাহিন, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সৈয়দ মিয়া, বিএনপি নেতা ফরিদ গাজী, নজরুল ইসলাম, মুজাহিদ আলী, জিয়াউর রহমান, আংগুর মিয়া, মোহাম্মদ আলী, উলামা দলের সভাপতি মাও. সজিব আহমেদ, ছাত্রদল নেতা মানছুর আহমেদ, ইউপি সদস্য লিটন মিয়া সহ প্রমূখ।
এ সভা শুরুর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদদের সম্মানে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।