টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বিরুদ্ধে লিখিত অনাস্থাপত্র দিয়েছেন নারী প্যানেল চেয়ারম্যানসহ নয় ইউপি সদস্য। রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই অনাস্থাপত্র দেন তারা। লিখিত অনাস্থাপত্রে চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বিরুদ্ধে দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
লিখিত অনাস্থাপত্রে, পরিষদের ব্যাংক একাউন্টে জমা না করে ট্যাক্স ও ট্রেডলাইসেন্স বিক্রির টাকা আত্মসাত, ইউপি সদস্যদের সম্মনীভাতা নিয়মিত না দেয়া, বছরে কত টাকা আদায় আর কত ব্যয় তা গোপন রাখা, ইউনিয়ন পরিষদের অনুকুলে বরাদ্দকৃত উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ১%, টিআর, কাবিখাসহ সকল খাতের অর্থ পরিষদের সাধারণ সভায় প্রকল্প গ্রহণ না করে নিজের বাহামভুক্ত ইউপি সদস্যের মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করে অর্থ আত্মসাত, ওয়ার্ড ভিত্তিক সুষম বন্টন না করে চালানো হয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা, ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ভিত্তিতে বরাদ্দের নিয়ন না মেনে ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্কভাতা, বিধাব ভাতার বড় অংশ নিজে রেখে ইচ্ছামত বন্টন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দাইন্যা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আফজাল হোসেন অনাস্থাপত্রে লেখা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান-বিন-মুহাম্মাদ আলী জানান, দাইন্যা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেয়া নয় ইউপি সদস্যের লিখিত অনাস্থাপত্র পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দ্রুতই অনাস্থাপত্রটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে।
অনাস্থাপত্র প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন নারী প্যানেল চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ১,২, ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অমলা পোদ্দার, সংরক্ষিত ৪,৫, ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুফিয়া বেগম, সংরক্ষিত ৭,৮, ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিলকিছ বেগম, ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. শওকত আলী, ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আব্দুল আওয়াল, ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. লিটন মিয়া, ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. সোহরাব হোসেন ও ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আবু সাইদ।