সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বোন কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু ও ভাতিজা মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফ কামালসহ ৯২ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠামইন থানার ওসি আহসান হাবিব।
তিনি বলেন, মিঠামইনের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও বিস্ফোরক আইনে এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের ভাতিজা ফারহান সিকদার বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। মামলায় এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার হয়নি। প্রথম মামলায় ৪৭ জনের এবং দ্বিতীয় মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার লিখিত এজাহার থেকে জানা যায়, বিগত ৫ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরে মিঠামইন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএনপি অফিসের সামনে আসার পরই বিপরীত দিক থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাল্টা মিছিল বের করে বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। এ হামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরিসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হন।
এ ছাড়া ওই দিন বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়ে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের বড় ভাই শাহরিল আলম তপনের পাঁচফোড়ন নামক হোটেলে প্রবেশ করে ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং শাহরিল আলম তপনকে মারধর করে ক্যাশ থেকে নগদ তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
দুটি মামলাতেই সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বোন মিঠামইন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ছোট ভাই অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু ও ভাতিজা মিঠামইন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ কামালসহ অজ্ঞাত আরও শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।