মৌলভীবাজারের মনু, ধলাই, কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানিবিপৎসীমার উপর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার প্রায় সহস্রাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষ করে নৌকা না থাকায় বন্যার্তদের উদ্ধার করতে পারছেন না স্বেচ্ছাসেবীরা। হঠাৎ করে বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার কয়েক লাখ মানুষ।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মনু নদীতে (রেলওয়ে ব্রিজ) বিপৎসীমার ১১৮ সে.মি, চাঁদনীঘাট এলাকায় ৮০ সে.মি, ধলাই নদীতে ৫ সে.মি, কুশিয়ারা নদীতে ৩ সে.মি ও জুড়ী নদীতে বিপৎসীমার ১৭৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনুনদীর ৫টি ও ধলাই নদীর ৪টা জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও, জয়চন্ডী, সদর, রাউৎগাঁও ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। সড়ক পথেও ওই উপজেলার অনেক গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজনগর উপজেলার মনুনদীর একামধু, মিঠুপুর ও ভাঙ্গার হাটে, কদমহাটা, তারাপাশা হরিপুরে ভাঙ্গা দেখা দেয়ায় উপজেলার প্রায় ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মৌলভীবাজা- কুলাউড়া আঞ্চলিক সড়কেও পানি উঠেছে। কমলগঞ্জ উপজেলায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষরা বলছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন মাঠে না থাকায় বিগত বন্যার মতো তারা সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল ভাঙনের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, বাঁধ উপচে পানি যাতে গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য আমরা চেষ্টা করছি।