গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি দোকান ভস্মিভূত হয়ে ক্ষতি হয়েছে ১কোটি ৫০লক্ষ টাকা। শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
খবর পেয়ে নেত্রকোনার পূর্বধলা ও গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে আগুনের লেলিহান শিখায় শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান কলেজ গেইটের সামনের ১৫টি দোকান মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এদিকে আগুনের খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ, পূর্বধলা উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা ও গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৩ টার সময় স্থানীয় চা বিক্রেতা আব্দুল লতিফের চায়ের দোকান থেকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে এই ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুরো হলো- কামরুল ইসলামের ইলেক্ট্রনিক্স দোকান, অজিতের ইত্যাদি লাইব্রেরি, মানিকের স্যানিটারি দোকান, কালা চাঁনের গ্যাসের চুলার দোকান, কাঞ্চনের মনোহারি দোকান, চন্দনের সেলুন, দিলীপ মোদকের কাপড়ের দোকান, নয়নের ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকান, অজিতের সেলুন, মোস্তফা মিয়ার ওয়ার্কশপ, প্রবীরের ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান, বাচ্চু মিয়ার গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, আসাদ মিয়ার মোটরমিস্ত্রির দোকান, জামালের কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকানসহ ১৫টি দোকান।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ইত্যাদি লাইব্রেরির সত্ত্বাধিকারী অজিত দাস বলেন, আমি রাত ১১টার সময় ভালোভাবে দেখে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে এসে দেখি আমার দোকানসহ ১৫টি দোকানের সব পুড়ে ছাই। আমরা কোন মালামাল উদ্ধার করতে পারি নাই। আমার প্রায় ৩০/৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমার পথে বসে ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
দোকান মার্কেটের মালিক তিলক রায় জানান, গভীর রাতে আগুন কিভাবে লাগে তা বলা যাচ্ছে না। তবে এই ঘটনার ২/৩ মাস পূর্বে এই মার্কেটের অপর পাশে আগুন লাগলে সেখানেও আমাদের মার্কেটের ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়।
গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিসের টীম লিডার মোঃ সুলতান মিয়া জানান, অগ্নিকাণ্ডে শ্যামগঞ্জ বাজারে ১৫টি দোকান পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস গৌরীপুর ও পূর্বধলার ৪টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করেছে। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডটি হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।