ঢাকা
২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ২:৩৮
logo
প্রকাশিত : আগস্ট ২৪, ২০২৪
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২৪
প্রকাশিত : আগস্ট ২৪, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি আরও বেড়েছে, ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন

মাসুদুর রহমান খান,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।গত শুক্রবার থেকে জেলার ৫টি উপজেলায় বন্যার পানির উচ্চতা তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ায় ও তারে গাছ উপড়ে পড়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন। পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে জেলার মেঘনা নদীসহ খাল-বিলের পানি বেড়ে গেছে। এতে জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। জেলার পাঁচ উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়ন এখন পানিতে ডুবে আছে। যেদিকে চোখ যাচ্ছে, শুধু পানি আর পানি। গ্রামের পর গ্রাম, মাঠের পর মাঠ পানিতে ডুবে আছে। এ কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের তথ্যমতে, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৫ লাখ ৩৭ হাজার গ্রাহক আছেন। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে চার দিন ধরে তাঁদের বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলায় ১৩টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আছে। উপকেন্দ্রগুলো ছুঁই ছুঁই করছে পানি। পানি বেড়ে ভেতরে ঢুকলে জেলায় পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা আছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় অনেক বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়েছে। অনেক স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। এতে তারগুলো পানিতে ডুবে গেছে।লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন আছেন। গ্রাহকের নিরাপত্তার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। চার দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা সাময়িক জানিয়ে তিনি বলেন, পানি কমে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

এদিকে টানা পাঁচ দিনের ভারী বর্ষণে লক্ষ্মীপুরের প্রায় ৪০ হাজার পুকুর ডুবে চাষের প্রায় সব মাছ ভেসে গেছে। এতে জেলায় মৎস্য খাতে প্রায় ৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, জেলায় চাষাবাদ করা প্রায় ৫৪ হাজার পুকুর আছে। এর মধ্যে ৪০ হাজার পুকুর ডুবে ৯০ শতাংশ মাছ ভেসে গেছে। ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির চাষের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে মৎস্যচাষিদের প্রায় ৮০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হতে পারে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, নদীতে ভাটা এলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সব কটি স্লুইচ গেট খুলে দেওয়া হয়। আবার জোয়ারের সময় গেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সার্বক্ষণিক তাঁদের কর্মীরা পর্যবেক্ষণে আছেন। এখনো মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এক-দুই দিনের মধ্যে পানি ধীরে ধীরে কমতে পারে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, দুর্গত মানুষদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram