যশোর শহরের লোন অফিস পাড়ার হলি হ্যাভেন নামক চারতলা বিশিষ্ট একটি বাড়িতে গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুট ও সরকারি কর্মকর্তা মৃত্যুর ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনের নামে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলো, খালধার রোড নিকারী পাড়ার ইয়াদ (২৫), জসিম (৩৫), কালু (২৭), লোন অফিসপাড়ার ২৭ নম্বর বাড়ির মৃত শেখ আব্দুল ওহাবের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ মহব্বত আলী টুটুল (৫৬) এবং একই এলাকার শিমুল (৩৮) ও শামীম (৪২)।
এজাহারে রফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, আসামি শেখ মহব্বত আলী টুটুলের সাথে ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিল। প্রায় সময় তাকে প্রাণ নাশের হুমকিও দিতো। যে কারণে ২০২১ ও ২০২৩ সালে তার বিরুদ্ধে থানায় দুইটি জিডি করা হয়। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সে সময় পুলিশ প্রশাসন কর্মবিরতিতে ছিলো।
এই সুযোগে আসামিরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার বাড়িতে অস্ত্রসহ মেইন গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। তিনি সিসি ক্যামেরায় আক্রমনকারীদের দেখতে পেয়ে ছাদে উঠে প্রাণ রক্ষা করেন। এই সময়ে আসামিরা বাড়িতে রাখা নগদ সাড়ে ৮ লাখ টাকা, ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ ভরি সোনার গহনা লুট করে। এরপর টিভি, ফ্রিজ, জানালা দরজার গ্লাস, বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বাড়ির নিচে রাখা একটি প্রাইভেটকার, একটি জীপ, একটি মোটরসাইকেল, ৩টি ভেসপা ভাঙচুর করে।
কাপড় চোপড়সহ বিভিন্ন আসবাবাপত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সে সময় টুটুল ভাই জিন্দাবাদ বলে অন্যান্য আসামিরা শ্লোগান দিতে থাকে। সে সময় আগুনের ধোঁয়ায় যশোর সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদের হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। পরে তিনি সেখান থেকে কোনো রকম পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন। এতোদিন থানায় অভিযোগ দেয়ার পরিবেশ না থানায় তিনি মামলা করতে পারেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।