কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে সত্তরোর্ধ সোনভানের ডান পায়ের কটি (উরু) ভেঙ্গে গেছে। এমন বাজেভাবে ভেঙ্গেছে যা চিকিৎসা করে ভালো হতে অনেক সময় লাগবে। সোনাভানের অশীথিপর স্বামী সাকার সরকারের কোন আয় রোজগার নেই। তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। একমাত্র ছেলে একজন চাতালকর্মি। তার সামান্য আয়ে চলে সংসার। এমন অবস্থায় সোনাভানের সংসার চলাই কঠিন। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার মতো কোন সামর্থ্য নেই।
শনিবার বিকেলে সোনাভানের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তিনমাস পূর্বে সোনামুখী বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে পা ফসকে রাস্তার পাশে পড়ে যান সোনাভান। লোকজন তাকে ধরাধরি করে তুললেও সোনাভান আর পা ফেলতে পারেননি। সেই থেকে তিনি কার্যত এক প্রকার ঘরবন্দী। টাকার অভাবে যাননি ডাক্তারের নিকট। কবিরাজের ওধুধে আর ঝাড়ফুঁকে ভরসা করলেও এখনো তিনি চলতে পারেন না।
সোনাভানের স্বামী সাকার হোসেন জানান, টাকার জন্যে বড় ডাক্তারের নিকট নিতে পারেননি স্ত্রীকে। একমাত্র ছেলের উপার্জনে কোনমতে খেয়ে পরে দিন চলে যায়। এরমধ্যে কবিরাজকে টাকা দিতেই অন্যের নিকট হাত পাততে হয়েছে। কিন্তু রোগ ভালো হয়নি। এখন ঘরের মধ্যে চলতে একটা হুইল চেয়ার দরকার।
ওই গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন জানান, সোনাভানের পরিবারটি হতদরিদ্র। নিজেদের জমিজমা নাই। একমাত্র ছেলে সংসার চলায়। সোনাভানের চিকিৎসায় এরইমধ্যে অনেক টাকা খরচ করেছে তারা। এখন আর চিকিৎসা বা হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ্য তাদের নেই। আমরা সাধ্যমতো সহায়তা করেছি। এমতাবস্থায় কোন সহৃদয় ব্যক্তির হুইল চেয়ার সহায়তা বা চিকিৎসা খরচ সহায়তাই পারে সোনাভানের যাপিত জীবনের দুর্ভোগ লাঘব করতে।