হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা বর্তমানে হাতীবান্ধ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বড়খাতা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। বর্তমানে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। যেকোন মূহুর্তে আবারও সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে আশংকা করা যাচ্ছে।
আহতরা হলেন- আব্দুর সালাম (৩২), আবু বক্কর (৩০) ও বকুল হোসেন (৪৫)। এদের মধ্যে বকুল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশংকা জনক।
জানা গেছে, বড়খাতা বাজারে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির মতির সাথে বড়খাতা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য বকুল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে বড়খাতা ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক সভাপতি আনারুল ইসলাম দলবল নিয়ে বিএনপি'র কার্যালয়ের সামনে গেলে হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হাইয়ের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই গ্রুপের তিনজন আহত হয়।
এ বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রহমান বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাই বলে আনারুল হকের লোকজন বিএনপি'র কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অফিসের তালা ও নেতাকর্মীকে মারধর করতে পারে না। আমরা বিষয়টি লালমনিরহাট-১ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধানকে অবগত করেছি।
এ বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক সভাপতি আনারুল হক বলেন, আমরা কোন মারামারি করিনি। তারাই আমার লোকজনদের উপর হামলা করেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হাই বলেন, আনারুল বিএনপির কোন পদে নেই। হঠাৎ করে আনারুল ও মতি তার লোকজন নিয়ে এসে পার্টি অফিস দখল ও ভাংচুর করে। এতে বাঁধা দিলে আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির সিনিয়ন যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা নেতৃবৃন্দকে অবগত করেছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোশাররফ হোসেন বলেন, খবর পয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি, পরে বিস্তারিত আপনাদেরকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।