বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বাঁশখালী উপজেলা আ'লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহাদাত আলম, খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দার, চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদসহ ৭৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কালীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরী।
অপর দিকে পৃথক আরেকটি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজ, সাবেক মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী, সরল ইউপি চেয়ারম্যান মো. রশিদ আহমদ, সরকারি আলাওল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. ইদ্রিস, সাবেক কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামসহ ৩৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন সরল ইউপির জাফর আহমদ নামের একজন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল হামিদ পৃথক মামলা দুটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এজহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৬ আগষ্ট বিকেলে ছাত্রদলের নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক আবু সুফিয়ান এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিল করে আনোয়ারা-বাঁশখালী প্রধান সড়কের দিকে এগিয়ে আসলে সাবেক এমপি মোস্তাফিজের নির্দেশে আসামীগণ পুলিশের সাথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থেকে অবৈধ অস্ত্র, পেট্রোল বোমা, ককটেল, লাঠি, লোহার রড, হকিস্ট্রিক নিয়ে হামলা চালায়।
অপর দিকে ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে বিরুধী দলীয় চেয়ারম্যানদের বাঁধা প্রদান, গুম ও মারধর সহ বিভিন্ন অপরাধে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজ, সাবেক মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীসহ ৩৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন জাফর আহমদ নামে একজন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট তকসিমুল গণি ইমন জানান, 'আদালত মামলা দু'টি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে এজহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।'
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত সুধাংশু শেখর হালাদার জানান, 'মামলার বিষয়টি শুনেছি। আদালত থেকে আদেশের কপি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'