দুর্গতির কথা বলে শেষ করা যাবে না। ঘরের ভেতরে কিছু স্বর্ণালংকার ছিল, জমির দলিল ছিল। সব পানির সঙ্গে ভেসে গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বন্যাকবলিত কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাঁচোড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আল আমিন এসব কথা বলেন।
দুর্ভোগের শেষ নেই এলাকার অন্যান্য মানুষেরও। আমিনুল ইসলাম নামে এক বানভাসি বলেন, ২ কানি জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছিলাম। কিছুদিন গেলেই সেগুলো পেকে যেত। কিন্তু এখন সেসব ধানি জমি চেনার কোনো উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, যতদূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। ফসলের মাঠের দিকে তাকালে মনে হয় এটি একটি ছোট নদী। আমাদের সব শেষ হয়ে গেল।
দিনমজুরের কাজ করেন রোবেল মিয়া। বন্যায় তার ঘরে কোমর পানি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তাই তিনি আশ্রয় নিয়েছেন পাঁচোড়া আশ্রয়কেন্দ্রে।
তিনি বলেন, দিনমজুরের কাজ করে ছোট একটা টিনের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতাম। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে গোমতীর বাঁধ ভাঙার পর এখন পর্যন্ত সেই ঘরে কোমর পানি। ঘরের খুঁটির গোড়ার মাটিও নরম হয়ে মিশে যাচ্ছে বানের পানিতে। আজ গিয়ে দেখি নড়বড়ে অবস্থা। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে ঘরটি। খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।
প্রসঙ্গত, বন্যায় কুমিল্লা জেলার ১০ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি। ক্রমশই অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।