আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: আমতলী পাওয়ার প্লান্টের ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৪ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত আবুল কালাম আজাদকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে আমতলী উপজেলা খুড়িয়ার খেয়াঘাটে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা এলাকায় সরকার ২০২২ সালে পাওয়ার প্লান্ট নিমার্ণ করে। ওই পাওয়ার প্লান্টের শ্রমিকের কাজের ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে খুড়িয়ার খেয়াঘাটের আমিনুল ইসলাম ও মিলন মৃধার মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার দুপুরে ওই ঘটনা মিমাংশা করতে যায় আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা ও সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদারসহ বেশ কয়েকজন এমন দাবী আমিনুলের। ওই সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় খুড়িয়ার খেয়াঘাটের রাইশা সুপার মার্কেটের মিল্টন মৃধার ঘর ভাংচুর করে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক এইচএম রাসেল, মিলন মৃধা ও মিল্টন মৃধা আহত হয়। গুরুতর আহত হলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম আজাদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামান তাকে সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে এবং মিল্টন মৃধার ঘর ভাংচুর করেছে। তারা আরো বলেন, উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আমতলী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, সামসুল হক চৌকিদার ও হেলাল চৌকিদারসহ বেশ কয়েকজন আমতলী পাওয়ার প্লান্টে চাঁদা তুলতে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন মিলে তুহিন মৃধাকে লাঞ্চিত করেছে। তিনি আরো বলেন, তুহিন মৃধার লোকজন খুড়িয়ার খেয়াঘাটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকিরের ছোট ছেলে রাহাত ফকির পাওয়ার প্লান্টে চাঁদা বাদী করে। আমি তা প্রতিহত করতে গেলে তার লোকজন হামলা করেছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।