নাসির উদ্দীন বুলবুল, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীতে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে টঙ্গীর কেরাণীটেক বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মৃত ওই যুবকের নাম সেলিম(৩০)। সে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার নোয়াদিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। সেলিম তার স্ত্রী বৃষ্টি আক্তারকে নিয়ে টঙ্গীর কেরাণীটেক বস্তির জনৈক বকুলের ভাড়া বাড়ির একটি ঘরে বাস করতেন।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এম সাফায়েত ওসমান হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সেলিম পেশায় একজন বাবুর্চী। বৃহস্পতিবার ভোরে কেরানীটেক বস্তিতে জনৈক বেবির ঘরের সামনে ফাঁকা জায়গায় তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে খবর পেয়ে সেলিমের স্ত্রী বৃষ্টি তার স্বামীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা জন্য টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে সেলিমের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর পাঠালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
সেলিমের স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার বলেন, স্থানীয় যুবক রনি ও খালেকের সাথে আমার স্বামীর পূর্ব বিরোধ ছিলো। বৃহস্পতিবার ভোরে রনির মায়ের ঘরের সামনে আমার স্বামীকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় কয়েকজন। পরে খবর আমার স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি মামলা করব।
টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসক ইমরান আহমেদ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিম নামে এক যুবককে আনা হয়। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।