মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের দর্জিপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
স্বজনদের দাবি, গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, গৃহবধূর নাকের নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মৃত গৃহবধূর নাম স্মৃতি সরকার (২০)। তিনি যাত্রাপুর গ্রামের সঞ্জিত সাহার স্ত্রী। সঞ্জিত সাহা ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক। তাদের দুই বছরের এক ছেলে সন্তান আছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই বাড়িতে দুই ছেলের বউয়ের মধ্যে তাদের বাচ্চাদের নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। কয়েক মাস আগে ঝগড়া করে বাপের বাড়িও কয়েক মাস থেকে এসেছেন স্মৃতি। গতকাল তাঁর সন্তান কান্না শুরু করলে শাশুড়ি ডাকতে গিয়ে দেখেন স্মৃতি বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।
স্মৃতির খালাতো ভাই সুদেপ সাহা বলেন, তার বোনের শরীরে মারধরের আঘাত রয়েছে। তাঁর বোনকে তাঁর স্বামী সঞ্জিত খুন করেছে বলে দাবী তার।
স্মৃতির মা রানী দাস বলেন, ‘আমার মেয়েকে মাঝেমধ্যে মারধর করত সঞ্জিত। ওরে মাইরা ফালাইছে।’
স্মৃতির শাশুড়ি নিয়োতি সাহা বলেন, ‘কোনো কাইজা (ঝগড়া) হয় নাই।’ শরীরে আঘাতের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘তা তো জানি না।’
গৃহবধূর স্বামী সঞ্জিত সাহা জানান, বিকেল ৪টার দিকে রিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন। খবর পেয়ে সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ি এসে দেখেন তাঁর স্ত্রী মারা গেছে।
হরিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর নাকের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সঞ্জিত সাহা ও তাঁর মাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।