বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি নিয়ে ছাত্রজনতার ওপর হামলার অভিযোগে মামলার আসামী আহমদ কবির (৪০) কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার সময় উপজেলার চাম্বল-শেখেরখীল সংযোগ আমিন চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে একটি মাছের ঘেরে লুকিয়ে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করে। আটককৃত আহমদ কবির চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বলের মো. মুজাহের মেম্বারের ছেলে। সে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সূত্রে জানা যায়, দাবী আদায়ের প্রেক্ষিতে গত ৪ আগস্ট পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুয়ায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় এবং একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার আসামীদের একজন আহমদ কবির। মামলা হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সর্বশেষ গত রাত মাছের ঘেরে লুকিয়ে অবস্থান করতে দেখে লোকজন আটক করে গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, 'সে এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং আতংকের একটি নাম। চাম্বল ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের ঘনিষ্ট সহযোগী হয়ে ভূমিদখলসহ জোর জুলুম চালাতো এলাকায়। গত ২০১৩ সালে সাঈদীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষুদ্ধ জনতা মিছিল করলে ওই আহমদ কবির মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি চালায়।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, আহমদ কবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আসামী। গত রাত লোকজন তাকে ধরে মারধর করে গাছে বেঁধে রাখেন। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। মারামারি, দখলবাজি সহ বিভিন্ন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ৩/৪ মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার দিবাগত রাতে একটি মাছের ঘেরে তার অবস্থান জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আহমদ কবিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শে পরে সেখান থেকে তাকে চমেক প্রেরণ করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।