হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেয়ার শেষদিন (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল কুমার মোহন্ত।
উপজেলায় মোট লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ছিলো ২৫টি। এরমধ্যে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারী থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পযন্ত যে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স করা হয়েছে সেগুলো জমা পড়েছে। আর বাকি ১৮টি অস্ত্র ২০০৯ সালের পূর্বে লাইসেন্সকৃত।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকদের দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের জমা দানকারীরা হলেন- উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের মোতলেবুর রহমান, বড়খাতা ইউনিয়নের আবু হেনা মোস্তফা কামাল মিন্টু, বোনচৌকি এলাকার আব্দুল হালিম, ভেলাগুড়ী ইউনিয়নের উত্তর জাওরানীর হাফিজ আলী, পূর্ব সিন্দুর্না এলাকার সার্জেন্ট মহসিন খন্দকার, ফকিরপাড়া ইউনিয়নের আলতাফ হোসেন এবং একই এলাকার অনন্ত কুমার রায়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকদের দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে৷তবে এর আগে দেয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বহাল আছে৷তাদের আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে হবে না৷
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল কুমার মোহন্ত বলেন, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে ৭টি অস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লাইসেন্সকৃত ছিলো তারা জমা দিয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে।