এস আই মল্লিক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় হাতেনাতে তিন জ্বীনের বাদশাকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার শমসপাড়ার আজিজার রহমানের ছেলে নূর আলম, একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকীর ছেলে মামুন হোসেন ও দুলাল বিশ্বাসের ছেলে সাইফুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে স্বর্ণ সাদৃশ্য একটি নকল মূর্তি উদ্ধার করা হয়।
ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সুত্রে জানা গেছে, এক প্রবাসীর স্ত্রী বিথী খাতুনের কাছে সম্প্রতি জ্বীনের বাদশা পরিচয়ে গভীর রাতে মোবাইলে কথা বলে আটককৃত প্রতারকরা। ফোন রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে ভৌতিক শব্দ শুনতে পান বিথী। তখন কথিত জ্বীনের বাদশা বলে ওঠে “আমি মানুষ না, আমি জ্বীন। তুই জ্বীনের সঙ্গে কথা বলছিস মা। আমি জ্বীনের বাদশা কোহিকাপ শহরের ভাসমান মসজিদ থেকে বলছি। তুই তোর পরিচয় দে মা। তোর মঙ্গল হবে। যদি পরিচয় না দিস, তাহলে পরিবারসহ এখনই ধ্বংস হয়ে যাবি”। এদিকে বিথী খাতুন ১২ বছর পর সন্তানের মা হওয়ায় কথিত জ্বীনের বাদশার “এখনই ধ্বংস হয়ে যাবি” কথা শুনে ভয় পেয়ে তাদের ফাঁদে পা দেন এবং জায়নামাজ ও কোরআন শরীফ কেনা বাবদ তাদের ২০ হাজার টাকা নগদের মাধ্যমে প্রদান করেন। এরপর প্রতারক চক্রটি ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এসে বিথী খাতুনকে স্বর্ণ সাদৃশ্য একটি নকল মূর্তি দিতে আসে।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঝিনাইদহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঝিনাইদহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের এসআই খালিদ হাসান (বিপিএম সেবা), এসআই রবিউল ইসলাম, এসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই ইখলাচুর রহমান অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় বুধবার দুপুরে একটি মামলা হয়েছে।