এম. এস. রয়েল, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম দল বিএনপি। আর এ দলটি আজকের অবস্থানে আসার পেছনে রয়েছে বেশকিছু নেতার অনস্বীকার্য অবদান। এসব নেতাদের সিংহভাগই এক সময় আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথ কাঁপাতো। তেমনি রাজপথ কাঁপানো বিএনপির একজন অন্যতম নেতা সময়ের সাহসী সন্তান কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও নেত্রকোনা জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আলহাজ্ব ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে অনেক লড়াই সংগ্রাম করে বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে জীবন বাজী রেখে দলের নিবেদিত হয়ে কাজ করেন।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়েই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে অগ্রণীয় ভূমিকা পালন করেন। নিয়মিত মিটিং মিছিলে অংশগ্রহন করাসহ সিনিয়র নেতাদের দেওয়া তাঁর উপর অর্পিত বিভিন্ন দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে সকলের প্রিয় পাত্র হন। তিনি তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক ত্যাগ তীতিক্ষার মাধ্যমে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন।
রাজপথের পরীক্ষিত নেতা হিসেবে দলের দূর্দিনে সব সময়ই দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশিত কর্মসূচি সম্মুখভাগে থেকে জীবনের মায়া ত্যাগ করে বাস্তবায়ন করেছেন। দলের দূর্দিনের কান্ডারী আলহাজ্ব ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী ১৯৮৭ সালে আলাউল হলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরের বছর ১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক ও ১৯৯০ সালে সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৩ সভাপতি পদ লাভ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য পদ পান এবং ১৯৯৭ সালে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০২ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মনোনীত হন।
বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও নেত্রকোনা জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কেন্দুয়া পৌর সদরের বাদে আঠার বাড়ি মহল্লার অধিবাসী। অত্যন্ত তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমান ও চৌকস জ্ঞানের অধিকারী রফিকুল ইসলাম ব্যাক্তি জীবনে খুবই সদালাপী ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ। সাধারণ জনগণসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে অমায়িক আচরণের জন্য হিলালীর অনেক সুনাম রয়েছে। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে রাজনীতি করায় দলের দূর্দিনের কান্ডারী আপোষহীন নেতা হিসেবেই স্বীকৃত হয়েছেন।
শৈশব কৈশোরে প্রাথমিকের গন্ডী পেরিয়ে কেন্দুয়া জয়হরি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে লেটার মার্কসসহ প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৮৬ সালে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে লেটার মার্কসসহ এইচএসসি পাস করেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় বিভাগে অনার্স ও ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় বিভাগে মাস্টার্স কমপ্লিট করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানের উপর ২০১২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতেও আলহাজ্ব ডঃ রফিকুল ইসলাম হিলালীর রয়েছে ব্যাপক অবদান। তিনি ২০০৮ সালে ও ২০১৬ সালে কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে ২০-দলীয় ঐক্য জোটের সংগ্রাম কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেন্দ্রীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের গণ্ডি পেরিয়ে অত্যান্ত ত্যাগী, সাহসী নেতা হিসেবে সুপরিচিতি পান। রফিকুল ইসলাম হিলালী ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত হন। পুনরায় ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত রফিকুল ইসলাম হিলালী ২০২০ সালে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির’ও সদস্য সচিব এর দায়িত্ব¡ প্রাপ্ত হন।
এছাড়াও তিনি নেত্রকোনা-৩ আসনে ২০০৬ সালে তিনি প্রথম ধানের শীর্ষের মনোনয়ন পান। কিন্তু এ নির্বাচন হয়নি। পরে তিনি ২০০৮ সালে পুনরায় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করে নেত্রকোনা জেলায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও নেত্রকোনা ৩ আসনে ধানের শীষের নমিনি ছিলেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের নিকট অত্যান্ত সৎ,ত্যাগী, সাহসী, কর্মীবান্ধব ও সুবক্তা হিসেবে ব্যাপক কদর রয়েছে তাঁর।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে হামলাসহ প্রায় চার ডজন মামলার আসামি তিনি। জেল খেটেছেন বহুবার। শিক্ষা জীবন শেষে চাকুরী না নিয়ে সারা জীবন রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করে আজ তিনি একজন সফল রাজনৈতিক সংগঠক।
দলীয় অনেক নেতাকর্মী জানান,তিনি অত্যন্ত সৎ, সাহসী ও ত্যাগী নেতা। মামলা হামলা হুমকি-ধমকিতে তিনি কোনদিন বিচলিত হননি। তিনি দলের বিরুদ্ধে চুল পরিমানও নীতিহারা হননি কোনদিন। কেন্দুয়া-আটপাড়ার দলীয় নেতাকর্মী ও সহকর্মীদের তিনি গাছের মতো ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছেন।
ডঃ রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে আমি ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই এবং অধ্যবধি চুল পরিমানও বিচলিত হই নি। বিএনপি-ই আমার জীবন বিএনপি-ই আমার মরণ। দলকে আরও বেশী শক্তিশালী করতে আমি সকলের সহযোগিতা চাই।