ঢাকা
১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৩:২৮
logo
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪

নড়াইলে অফ সিজনের তরমুজ চাষে লাভবান কৃষক

হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়ায় অফ সিজনের তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কম খরচে বেশি ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। তাদের সফলতা দেখ অসময়ের তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেকেই। কৃষি বিভাগ হাইব্রিড জাতের তরমুজ আবাদে কৃষকদের পরামর্শ, বিনামূল্যে সার, বীজ, নগদ অর্থ সহায়তাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

স্থানীয় কৃষক ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কালিয়া উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে বর্ষাকালীন তরমুজের চাষ হয়েছে। কৃষক ফলন আশা করছে হেক্টর প্রতি ১৫ টন। কালিয়া পৌরসভার ছোট কালিয়ার গোবিন্দনগর এলাকার বিলে, সালামাবাদ ইউনিয়নের ভাউরীর চর বিলে, বাঐসোনা ইউনিয়নের দুধকুড়া বিলে অসংখ্য ঘের পাড়ে মাচায় তরমুজ চাষ হচ্ছে। এ উপজেলার সর্ববৃহৎভক্তডাঙ্গ্ বিলের অসংখ্য মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচায় মাচায় বিশেষ জাতের বারোমাসি তরমুজ আবাদ হচ্ছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মাছের ঘেরে গিয়ে দেখা যায় মাচায় মাচায় ঝুলছে হলুদ, কালো বিভিন্ন ধরনের তরমুজ। যার মধ্যে রয়েছে এশিয়ান-২, তৃপ্তি ও বল্টাক জাতের তরমুজ। এসবের মধ্যে এশিয়ান-২ বাংলাদেশি জাত। এসব জাতের তরমুজ দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও সুস্বাদু। বিশেষ করে তৃপ্তি জাতের তরমুজ বেশি সুস্বাদু। এই তরমুজ চাষে খরচ কম। একর প্রতি মাত্র ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। বাজার দরও বেশ চড়া থাকায় কৃষক বেজায় খুশি।

তরমুজ চাষে সফল জেলার নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কালিয়া উপজেলার ভাউরীর চরের বাসিন্দা শেখ কামাল হোসেন। তিনি জানান উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় খুলনার ডুমুরিয়া থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এরপর কালিয়া উপজেলার গাছবাড়িয়া বিলের ৭ একর মৎস্য ঘেরের পাড়ে এক হাজার চারশত টি চারা রোপণ করেছেন। তার মোট খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন ৩ লাখ টাকা বিক্রয় হবে।

আরেক চাষি বাঐসোনের দুধকুড়া গ্রামের অসিত কুমার বিশ্বাস ডুটকুড়া বিলে তিন হাজার চারা রোপণ করেছেন খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা, আশা করছেন ১২ হাজার কেজি তরমুজ ৬ লক্ষ টাকা বিক্রি হবে।

সফল চাষি কালিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রদীপ কুমার বর্মণ জানান, ১৫০ বিঘা মৎস্য ঘের পাড়ে ১০ হাজার চারা রোপণ করেছেন। খরচ হয়েছে আনুমানিক ৮ লাখ টাকা। তিনি ৯০ হাজার কেজি তরমুজ ফলনের আশা করছেন। বাজারমূল্য ঠিক থাকলে ৪০-৫০ টাকা পাইকারি কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে তিনি প্রায় ৪০ লাখ টাকা লাভ করার কথা ভাবছেন।

কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইভা মল্লিক বলেন, তরমুজ এখন আর মৌসুমি ফল নয়, সারা বছরই তা চাষ করা যায়। বীজ বপনের ৭০ দিনের মধ্যে ফসল সমাপ্ত করা যায়। ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় প্রথম উচ্চ ফলনশীল ফসল হিসেবে অফসিজন তরমুজের চাষে ব্যাপক সাফল্য এসেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি নড়াইল এর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিশ^াস বলেন, কালিয়ায় অফ সিজন তরমুজ চাষে কৃষকরা সফল। কালিয়ায় স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অফ সিজন তরমুজ চাষে সফল পাচ্ছে কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি নড়াইল এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আশেক পারভেজ বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ও দুর্গম জায়গা যেখানে সরকারি সেবা সহজে পৌঁছায় না সেখানে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর। আর এ কারনেই এগিয়ে যাচ্ছে কৃষিখাত।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram