তারেক পাঠান,পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীর পলাশে আবার ও পলাশ থানা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরুন চন্দ্র দাসের অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে অপসারণ চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ১১ টার দিকে উপজেলার প্রধান আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা সড়ক দিয়ে চলাচলরত সকল যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে প্রধান শিক্ষক বরুন চন্দ্র দাসের অপসারণ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে দাবি জানানো হয়।
এ সময় বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক বরুন চন্দ্র দাসের নানা দূর্নীতির অভিযোগ গুলো তুলে ধরেন। এরমধ্যে নিয়োগ বানিজ্য, আর্থিক অনিয়ম, যাতায়াত বানিজ্য ও রাজনৈতিক প্রভাব সহ নানা দূর্নীতির অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের মধ্য দিয়ে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগকৃত হন বলে অভিযোগ উঠে।
এরপর থেকে প্রধান শিক্ষক বরুন চন্দ্র দাস টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্য শুরু করেন বলেও অভিযোগ উঠে। এতে শিক্ষার্থীরা বলেন, কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ, লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ , আয়া ও নাইট গার্ড নিয়োগে মোটা অংকের টাকা নেওয়া হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ে কাজে ঢাকা যাওয়ার ব্যয় দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। তাছাড়াও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত সনদপত্র উত্তোলনে টাকা নেওয়া বিভিন্ন প্রয়োজনে অশালীন আচরণ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এরই জেরে গত দশদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি দেওয়ার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক বরুন চন্দ্র দাসের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তার অপসারণ দাবি জানিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত ২১ আগস্ট বুধবার উপজেলার শহীদ মিনার চত্বর থেকে মানববন্ধটি শুরু হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্কুল মাঠে এসে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্লোগান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র ছাত্রীরা ।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিলন কৃষ্ণ হালদার জানান, অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। পরবর্তী আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।