এমএ জলিল সরকার, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনির ভূগর্ভস্ত শ্রমিকদের সংগঠন মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইন শ্রমিক কল্যাণের ব্যানারে ৫ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। ফলে খনি কর্তৃপক্ষ ও পাথর উত্তলনকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান (জিটিসি) আজ বুধবার সকাল থেকে পাথর উত্তোলন করা বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা যায়, দেশের একটি উল্লেখযোগ্য জাতীয় পত্রিকায় সম্প্রতি খনি সংক্রান্ত অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় খনি শ্রমিকরা ফুঁসে ওঠে এবং শ্লোগান দিতে থাকে জিটিসি কে আর নয়। এই অবস্থায় পাথর উত্তোলনকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও তার সহযোগী বৈদেশিক সংস্থা বেলারুশ নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় ভূগর্ভে শ্রমিক প্রবেশে বাধা নিষেধ সহ আনুষ্ঠানিক ভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধের ঘোষণা করে। এ সময় কর্তৃপক্ষ খনির গেট সমূহ বন্ধ করে দিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌছান এবং শ্রমিকদের দাবি দাবা শুনে তাদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। এক পর্যায় জিটিসি কর্তৃপক্ষ তারাও ঘোষণা দেন।
শ্রমিকদের দাবিগুলো হচ্ছে- প্রতিটি খনি শ্রমিকের বেতন ভাতা, উৎসব বোনাস ও ছুটি হতে হবে আর্ন্তজাতিক আইন মেনে, চুত্তির শর্ত মোতাবেক বার্ষিক ৫% হারে বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি, ছাটাইকৃত খনি শ্রমিকদের অনতিবিলম্বে নিঃশর্তভাবে নিয়োগ প্রদান, সরকার ঘোষিত ছুটি ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণসহ জিটিসি কর্তৃপক্ষ ঘোষিত ছুটি বেতন-ভাতা প্রদান এবং কোন শ্রমিক কে ছাটাই করতে হলে ৩ মাসের বেতন প্রদান করতে হবে। খনিতে কাজ করেন ৮৭১ জন শ্রমিক।
এ ব্যাপারে উপস্থিত শ্রমিকরা জানান, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরাও কাজে যোগ দেব না। বৈদেশিক সংস্থা বেলারুশ ও জার্মানীয়া ট্রাষ্ট কনসোর্টিয়াম কোম্পানী লিমিটেড জিটিসির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে খনি কর্তৃপক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি দায়িত্বশীল সূত্রের সাথে কথা হলে জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খনির নিরাপত্তার কথা ভেবে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।