চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ষাটোর্ধ এক নারীকে মারধরের ঘটনায় যুবদল নেতা রেজাউল করিম ও তার অনুগত ইসমাইল গংয়ের হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
বুধবার দুপুরে উপজেলার মজিদেরপাড় এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ উপজেলার পাম্প মোড় এলাকায় মিলিত হয়। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার পরিষদ চত্বরে গিয়ে মানববন্ধনে রূপ নেয়। সেখানে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে স্থানীয় নারী-পুরুষরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী নারীর ছেলে হাফিজুর রহমান বলেন, গত শনিবার রাতে যুবদল নেতা রেজাউল করিম রাস্তা আটকিয়ে আমার মাকে মারধর করে। যার কারণে থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে মামলাটি এখনো এন্ট্রি হয়নি। থানায় মামলা দেওয়ার কারণে রেজাউলের পক্ষ থেকে আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। তাই এলাকাবাসী এই মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন।
স্থানীয় আকলিমা বেগম বলেন, এক নারীকে মারধর করা মানে সকল নারীকে মারধর করা। আমি এই বিএনপির নেতা রেজাউল করিম ও ইসমাইল হোসেন এর বিচার চাই। আমাদের কোন নিরাপত্তা নাই আমরা নিরাপত্তা চাই।
এ বিষয়ে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ওনারা যেভাবে অভিযোগ দিয়েছে তাতে মামলা হয় না। পরে আমরা সেটি কোর্টে পাঠিয়েছি। এখন কোর্ট থেকে অনুমতি আসলে মামলা হবে।
এদিকে মানববন্ধন শেষে বাড়ী ফেরার পথে মানববন্ধনে অংশ গ্রহণের অপরাধে দাম্ভিক যুবদল নেতা রেজাউল করিম ও ইসমাইল হোসেনরা তাদের উপর হামলা চালায়। প্রতিবাদে এলাকাবাসী রেজাউলের বাড়ীতে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের ৬জন আহত হয়। তারা চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন- অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র লিমন মিয়া (১৫), সিদ্দিকুল ইসলাম (৪৪), দেলোয়ার হোসন (৫৩), ছকিনা বেগম (৬৫), ইদ্রিস আলী (৫০) ও ইয়ার আলী (৫০)।
ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম বলেন, অতর্কিত হামলার বিষয়টি মিথ্যা। বরং তারা ষড়যন্ত্র করে আমার বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন সরকার শিরিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি, সভাপতির সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে।
ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, ঘটনা শোনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।