পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক, অপহরণ সাজানো মামলাসহ প্রতারণার অভিযোগ। নাশকতার মামলায় বানেশ্বর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ওরফে ডিস কালামকে আটক করেছে পুঠিয়া থানা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত সোপর্দ করা হয়।
পুঠিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী থেকে তাকে আটক করে পুঠিয়া থানা পুলিশ। পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নন্দনগাছী থেকে তাকে নাশকতার মামলায় আটক করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, আবুল কালাম বিএনপির ক্যাডার ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বানেশ্বর বাজারে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে প্রচারণার জন্য তৈরি ৪০ হাত নৌকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৮ সালে তৎকালীন সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারার হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০১৩ সালের সম্মেলনে তাঁকে বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সাম্পাদক করা হয়। সে সময় সাবেক নেতা মৃত আব্দুস সাত্তার মেম্বার প্রতিবাদ জানালে তাদের মধ্যে কয়েক দফা হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে সাত্তার মেম্বারকে ফাঁসাতে কালাম আত্মগোপনে চলে যান এবং তার পরিবারের লোকজন মামলা করেন। তাকে উদ্ধারের পর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেন।
এরই মধ্যে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অফিস দখলের অভিযোগ উঠে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ওরফে ডিস কালামের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, জামায়াত নেতা সাইদুর রহমানকে বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে সারাসরি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, বানেশ্বর বাজারের বিশিষ্ট সার ব্যাবসায়ী ওসমান, শহীদ নাদের আলী স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাবু উপরে ও বাড়িতে দলবল নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেয়েছে। বিতর্কিত আজাদ এবং তাঁর ছেলে জুয়েল রাজনীতির আড়ালে নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। তাঁদের অপকর্মে এলাকাবাসী তটস্থ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকে তাঁরা নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন। এমনকি এদের নানা কাণ্ডে প্রশাসনকেও তটস্থ থাকতে হতো। কালাম ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁর ছেলে অস্ত্র ব্যবসা করতে গিয়ে র্যাবের হাতে পিস্তলসহ আটকও হয়েছিলেন।