রাজবাড়ী প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাজবাড়ী সদরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হয়েছেন। এ সময় চন্দনী বাজারের ৭/৮টি দোকান ভাংচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলেরাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ এ পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি।
তবে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চন্দনী ইউনিয়ন বিএনপি ঘাটি। এ ইউনিয়নের নির্বাচিত দুইজন চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা মালেক সিকদার ও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের মধ্যে চন্দনী ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার ও পদ্মার ঘাটে চাদাবাজি ও প্রভাব খাটানো নিয়ে গত ৫আগষ্টের পর থেকেই রেষারেশি চলছিল। তা এতদিন গোপন থাকলেও ১২আগষ্ট চন্দনী বাজারে সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে তা প্রকাশ্যে রুপ নিল।
অন্য গুরুত্বর আহতরা হলেন- চন্দনী ইউনিয়নের সোরাব মন্ডলের ছেলে শামীম (২৪), মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে আরাফাত ইসলাম রাফি (১৮) ও সুভাষ এর ছেলে শশী (১৯)। আহতরা রাজবাড়ী সদর হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সংঘর্ষ নিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মালিকের (বিএনপি নেতা) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে চন্দনীর বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জবর দখল, চুরি, ছিনতাই বেড়ে গেছে। এর সাথে জড়িত ভিপি মালিকের অনুসারীরা। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে এসব অপকর্ম বন্ধ করতে আজ আমরা চন্দনী বাজারের সমাবেশ করি। সেখানে ভিপি মালেকের অনুসারীরা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতাকর্মী ও ছাত্রদের ওপর হামলা করে। তাদের দোকানপাট সহ ১০/১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
চন্দনী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মালেক (বিএনপি নেতা) বলেন, আমি অসুস্থ। কয়েক দিন যাবত ঢাকায় আছি। আমি নিজে যেখানে উপস্থিত নেই, সেখানে আমাকে কীভাবে দোষারোপ করে ? আমি জানতে পেরেছি যুবদলের দুই গ্রুপের একই স্থানে সমাবেশ ছিল। সেটা নিয়েই মূলত সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত আছে বলে জানতে পেরেছি।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতে খারুল আলম প্রধান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে।