চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসএন করপোরেশন নামের শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মারা গেলেন পাঁচজন।
আজ শনিবার ভোর ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান দগ্ধ জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৫) ও বরকতুল্লাহ (২৩)।
নিহত জাহাঙ্গীর পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার আবেদ আলী হাওলাদারের সন্তান। নিহত বরকত উল্লাহর বাড়ি চট্টগ্রামের তার বাবার নাম আইয়ুব আলী।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ জাহাঙ্গীর ও বরকত উল্লাহ মারা গেছেন। জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকত উল্লাহর ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকতুল্লাহর ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তারা মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এরআগে মারা গেছেন জাহাঙ্গীরের ভাগিনা খায়রুল শেখ (২১), আহমেদ উল্লাহ (৩৮), আল আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৬)।
ডা. তরিকুল জানান, বর্তমানে আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ ও আবুল কাশেম ৮০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় আরও দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে আল-আমি আছেন আইসিইউতে, যার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ। এছাড়া আনোয়ার হোসেন এইচডিইউতে ভর্তি আছেন। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ।
এর আগে, গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকার সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন এসএন করপোরেশন নামের জাহাজভাঙা কারখানায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ ও গুরুতর আহত হন ১২ শ্রমিক।