ঢাকা
৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ১০:৫২
logo
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

বিষ প্রয়োগ না করেই লাউ চাষে সফলতা পেয়েছেন সাজেদুল ইসলাম

সঞ্জীব সরকার, উল্লাপাড়া , (সিরাজগঞ্জ): বিষ প্রয়োগ না করেই লাউ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন উল্লাপাড়ার লাউ চাষি সাজেদুল ইসলাম। তার মাত্র  ১৭ শতাংশ জমিতে বিষমুক্ত  লাউ চাষ করে সারা ফেলেছেন কৃষকদের । তার এ পদ্ধতিতে লাউ চাষ দেখে অনেকই এগিয়ে আসছেন । বলছিলাম  উল্লাপাড়ার কয়ড়া ইউনিয়নের রতনদিয়ারের লাউ চাষি সাজেদুল ইসলামের সফলতার কথা । 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় , মাচাঁয় থাকা সবুজ লাউয়ের প্রতিটি ডগায় ফুটছে সাদা ফুল। মাচার নিচে ঝুলছে  লাউ আর লাউ । তার এই মালচিং পদ্ধতিতে ও বিষমুক্ত লাউ চাষের সফলতা দেখে অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখতে এসেছেন নিচ্ছেন  পরামর্শ । তার চাষকৃত লাউ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করছেন কৃষক সাজেদুল ইসলাম। বাজারে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়  ৪০ থেকে ৫০ টাকায় ছোট বড় দেখে এমনটাই জানান । জমিতে প্রচুর পরিমাণ লাউ গাছে ধরায় এবং বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ায় তার পরিবারে এসেছে স্বচ্ছলতা। সামনে আরো বড়ো পরিসরে লাউ চাষ করবেন বলে তিনি জানান ।

কৃষক সাজেদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন  , জমি থেকে ইরি -বরো ধান উত্তলন করে বর্ষার আগে উচু জমিতে চাষ দিয়ে প্রস্তুত করে লাউয়ের বীজ বোপন করি ৩ মাস আগে ১৭ শতাংশ জমিতে। জমির চারপাশে জাল দিয়ে বেড়া , মাচা ও জৈব সার দেওয়া বাবদ খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা।  জমিতে গাছের পরিচর্যা ও আগাছা নিজেই পরিস্কার করি যার ফলে বাড়তি টাকা দিতে হয় না শ্রমিকদের। বীজ বপনের পর সঠিক ভাবে গাছগুলো পরিচর্যা করায় ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্য লাউ গাছে ফুল আসতে শুরু করে। ফুল আসার পর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্য গাছ থেকে উত্তোলন করতে পারি। গাছগুলোতে কোন রকম ক্যামিকেল ব্যবহার করছি না। গাছের চারপাশে জৈব সার ব্যবহার করা হয়। যার ফলে লাউগুলো একদম বিষমুক্ত। আমরা এখন সবকিছুতে ফসল ফলানোর জন্য ক্যামিক্যাল ব্যবহার করি। তাই ক্যামিকেল ছাড়া চাষ পদ্ধতি মানুষের ছড়িয়ে দেওয়ার চেস্টা করছি। সপ্তাহে দুই দিন হাট বাজারে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মতো লাউ বিক্রি করে এছাড়াও অনেকে সময় বাড়ির উপর থেকে  বিক্রি করি । আশা করি এই জমি থেকে এ বছর ২ লাখ টাকার মতো লাউ বিক্রি করতে পারবো। 

 উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী  বলেন, উপজেলার ইরো বরো ধান জমি কাটার পর বর্ষার সময় বাড়তি আয়ের জন্য অনেকেই উচু জমিতে সবজি চাষ করে থাকে। লাউ উৎপাদনে  অন্যান্য সবজি  তুলনায় পরিশ্রম কম হওয়ার কারনে অনেক কৃষক মালচিং লাউ চাষে লাভবান হচ্ছে। অনেকেই এ পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন। কৃষি অফিস সব সময়   সবজি চাষিদের পরামর্শ দিয়ে আসছে । কৃষকদের প্রয়োজনীয়  সব ধরনের সহযোগিতা করে হবে ।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram