তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি: জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে প্রত্যয়ন সনদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জে জেলার সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান রসিদ আহমেদের বিরুদ্ধে।
তিনি স্বাস্থ্য সহকারী পদে নুসরাত জাহান নাসরিন ও স্মৃতি নকরে নামে দুই নারীকে চাকরির ক্ষেত্রে সহায়তা করারও অভিযোগ উঠেছে।
চেয়ারম্যান রসিদ আহামেদ স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ওই ইউনিয়নের সাবেক ১ নং ওয়ার্ডে এবং র্বতমানেও ১ নং ওর্য়াডের বাসিন্দা নুসরাত জাহান নাসরিন ও স্মৃতি নকরেকে ভুয়া প্রত্যয়ন সনদ দেন। এবং নিয়োগ ও পেয়ে যায়।
দুইজন চূড়ান্ত র্প্রাথীর নিয়োগ বাতিল চেয়ে এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে স্থানীয় বাসিন্দাকে চাকরি দেওয়ার জন্য গত ২ জুলাই ইউনিয়নের ঝরঝরিয়া গ্রামের বাসিন্দা খাদিজা আক্তার ও কোহিনূর বেগম হাইকোর্টে একটি রিট আবেন করেন। এবং গত ২৯ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আরও একটি লিখিত আবেদন করেন কুহিনুর বেগম।
অভিযোগ উঠেছে,নুসরাত জাহান নাসরিনের বড় ভাই ডা.সাইফুল ইসলাম সিভিল সার্জনের আওতাধীন বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে কর্মরত থাকার সুবাদেই ওই ভুয়া প্রত্যয়ন সনদের বদলওতেই ভাগিয়ে নেন স্বাস্থ্য সহকারী পদটি। বিষয়টি জানাজানির পর চাকরি প্রার্থী কুহিনূরসহ অন্য প্রার্থীরা চেয়ারম্যান রসিদ আহমেদের কাছে গিয়ে এক ওর্য়াডের বাসিন্দাকে কেন অন্য ওর্য়াডের প্রত্যয়ন দেয়া হল জানতে চাইলে তিনি কুহিনুরসহ অন্যান্য প্রার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান রসিদ আহামেদ বলেন,আমার মনে নেই। কাগজ পত্র না দেখলে বলতে পারবো না। যেটা আমি পাইছি সেটাই আমি দিছি। নুসরাত জাহান নাসরিন ও স্মৃতি নরেক সাবেক ১ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া শর্তেও আপনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বানিয়ে প্রত্যয়ন দিয়েছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি(চেয়ারম্যান)কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এবং তিনি নিউজ না করার জন্য ও প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি মান্নান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যাই আসবে সে অনুয়ায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হবে।