জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে কক্সবাজার উপকূলে ৬টি ফিশিং ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও সাগর থেকে ফিরে আসেনি কক্সবাজারের ৩০ মাঝি-মাল্লাসহ ১টি ট্রলার। তবে রাতে ও সকালে ফিরেছে আরও ১০টি ট্রলার।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। এছাড়া অব্যাহত রয়েছে বর্ষণও। কক্সবাজারে গেল ২৪ ঘন্টায় ২৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ডুবেছে আটটি মাছ ধরার ট্রলার। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও শতাধিক জেলে। এনিয়ে কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গেল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ৮টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এই ৮টির ট্রলার ডুবির ঘটনায় গতকাল ২ জন এবং আজ শনিবার সকালে ২ জনসহ মোট ৪ জন মাঝিমাল্লার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ৩০ জন মাঝিমাল্লাসহ আরও একটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তীব্র ঝড়ো হাওয়ার কারনে এই ট্রলারটি তীরে ভিড়তে পারছে না।
জানাগেছে, সাগর উপকূলের লাবণী চ্যানেলে এফবি রশিদা নামের একটি এবং সাগরের ইনানী পয়েন্টে ৫টি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এসব ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লারা কুলে উঠতে পারলেও ৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া মোহাস্মদ জামাল (৩৭) ও নুরুল আমিন নামে দুই জেলে সাগরে ডুবে মারা গেছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এবং নুরুল আমিনের বাড়ি বাঁশখালী এলাকায়। আজ সকালে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর আক্তার কামাল।
এদিকে কক্সবাজারে রেকর্ড ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে অন্তত ১৮টি সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। আজ শনিবার বৃষ্টি কমেছে। অন্যদিকে কাদায় দুর্ভোগ বেড়েছে পর্যটক ও স্থানীয়দের।