গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় জনতার সাথে সংঘর্ষে নিহত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদারের মরদেহ তার নিজ বাসা ঢাকার জুরাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে এ হত্যাকান্ড ও হামলার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল। তবে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পযর্ন্ত গোপালগঞ্জ থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।
শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বুঝে নেন নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান ও শ্বশুর হাবিবুর রহমান। পরে তারা একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে ঢাকার জুরাইনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ ঘটনায় দলীয় ও পারিবারিক সিদ্ধান্তের পর মামলা করা হবে জানিয়ে দোষীদের সর্বোচ্চ
শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে বৃষ্টি উপক্ষো করে জেলা শহরের লঞ্চঘাট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় স্বর্ণ পট্টিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, সদস্য ডা, কে এম বাবর, এ্যাড তৌফিকুল ইসলাম তৌফিকসহ দলীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। এ কর্মসূচীতে জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ
অংগ-সংঘঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এসময় বক্তরা বলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এম এম জিলানী নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গাড়ী বহর নিয়ে নিজ বাড়ী টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন।
এসময় ঘোনাপাড়ায় স্থানীয় লোকজন গাড়ীবহরে হামলা চালায়। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত ও বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে গাড়ি বহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা। এসময় তাদের গাড়ী বহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌছালে আওয়ামী লীগের ব্যানার ফেস্টুন ছেড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগনের সাথে বিবাদে জড়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ ৩৫ জন আহত হন।