শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা: কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারী কলেজ শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারী কলেজ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় ৭ জন আহত হয়। কলেজের শিক্ষকদের দুই গ্রুপের কারণে শিক্ষার্থীরা বিভক্ত হয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানম কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদেরকে সব সময় হাত করে রাখে, যাতে তার অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কেউ কথা বলতে না পারে। শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ কোন বিষয় নিয়ে ঝামেলা হলেও তিনি অসহযোগিতা করেন। ফলে কলেজে এ ধরনের সমস্যা পরিক্রমায় বেড়ে চলছে। এসকল দূর্নীতির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের একাংশ কলেজে প্রতিবাদ করতে গেলে শিক্ষার্থীদের অপর অংশের সাথে কলেজের সামনে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সাথে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সাত জন শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতরা হলেন- ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাফিল আহমেদ, শাকিল আহমেদ, ফারুক, ২য় বর্ষের সাব্বির, জয়, পিন্টুসহ আরও অনেকে। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আহত শিক্ষার্থীরা ভয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছেন না। তারা শুধু এতটুকু বলেন, আপনারাতো জানছেন ও দেখেছেন।
এই বিষয়ে কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারী কলেজের ইনস্ট্রাক্টর সাহিদা আক্তার জানান, এই কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আত্মকোন্দল চলছে। এটির সমাধান প্রয়োজন।
এ ঘটনা সম্পর্কে একই কলেজের আরেক ইনস্ট্রাক্টর ফাতেমা আক্তার জানায়, কলেজের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরি খানমের বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে শিক্ষার্থীরা তার উপর ক্ষুব্ধ। কোটি কোটি টাকার বাজেট আসলেও দৃশ্যমান কোন উন্নতি নাই কলেজের। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে ১৯ দফা দাবিও দিয়েছে। এছাড়া অনেক বিষয়ে আকবরি খানম শিক্ষার্থীদের সমানভাবে সহযোগিতা না করায় দিন দিন এ সমস্যা বেড়েই চলছে। আমি চাইনা আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের এমন দুরাবস্থা হোক। আমরা এর প্রতিকার চাই।
এই বিষয়ে কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারী কলেজের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরি খানমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।