শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা: কুমিল্লার বুড়িচংয়ের উত্তর শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়ার বসত বাড়ি দখল করে রেখেছে তার চাচা আবদুস সালাম ভূঁইয়া ও চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া। এই অভিযোগে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করলে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রভাব খাটিয়ে মামলা স্থগিত করে রাখে ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিন। এই বিষয়ে আদালতের মামলা পুনরায় চালু করতে ও নিজের বসত বাড়ির ভিটা ফিরে পেতে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মোঃ বিল্লাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন বলেন, ২০০৯ সালে আমি উত্তর শ্যামপুর এলাকায় আমার বসত ভিটার জমি ক্রয় করি। ২০১৬ সালে আমি ব্যক্তিগত কারণে প্রবাসে গেলে আমার চাচা আবদুস সালাম ও তার ছেলে জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মিলে সেখানে এক শতক জায়গায় আমার অজান্তে দখল করে ও সেখানে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করে। পরে, আমি এটা নিয়ে কুমিল্লার আদালতে ২০১৬ সালে একটি বাড়ি বেদখল বিষয়ে আমার চাচা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। তখন আদালত আমার চাচাকে আমার জায়গায় বাড়ি নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু, তারা সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনে বাড়ি নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে, আমি পুনরায় একই বছর আদালতে একটি ভায়োলেশন মামলা করি। আমার চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিন চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টের পেশকার হওয়ায় সাবেক আইমন্ত্রীর সাথে তার ভালো শখ্যতা থাকায় সেই প্রভাব খাটিয়ে পরে ২০২০ সালে আদালত আমার সেই ভায়োলেশন মামলাটি খারিজ করে দেয় ও ২০২২ সালে আমার মূল মামলাটি স্থগিত করে। ২ বছর পার হয়ে গেলেও আমার মূল মামলাটি এখনো চালু হয় নি। তাই প্রশাসনের কাছে চাই আমার স্থগিত মামলাটি যেন পুনরায় চালু হয় সেই অনুরোধ করছি এবং আমার বসত বাড়ির জমি আমি ফেরত চাই। আমার সাথে হওয়া অবিচারের সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আইনমন্ত্রীর সাথে আমার কোনো শখ্যতা কিংবা পরিচিতিও নাই। মামলা স্থগিত হওয়ার বিষয়টি আইনী প্রক্রিয়ায় হয়েছে। আমি আইনের লোকের হয়ে অন্যায় কাজ করতে পারি না।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, আসামীপক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিল্লাল হোসেনের সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণের কাজ অব্যহত রাখলে বিল্লাল হোসেন আদালত অবমাননার একটি মামলা করেন। সেই মামলাটিও খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারক তৌফিকুল ইসলাম। পরে, এই ঘটনায় বাদীপক্ষ কুমিল্লা জেলা জর্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন যা এখনো চলমান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অন্যায়ভাবে বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়ার মূল মামলাটি স্থগিত করে রেখেছেন বিচারক তৌফিকুল ইসলাম।