ঢাকা
৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১:৫৬
logo
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪

ফেনীর সোনাগাজীতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাধাইকৃত বাঁধেও ভাঙন, দ্রুত মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণের দাবি

জাবেদ হোসাইন মামুন, সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি: ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সোনাগাজী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মুছাপুর রেগুলেটর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। উপায়ন্ত না দেখে ছোট ফেনী নদীর ভাঙন ঠেকাতে সোনাগাজীতে স্বেচ্ছাশ্রমে ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁধ নির্মাণ করা হয়। খুঁটি, জিও ব্যাগ, বাঁশ ও বেড়া দিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ বাঁধ নির্মাণ করেন স্থানীয়রা।

উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের উত্তর চরদরবেশ গ্রামের তালতলি নামক স্থানে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেন তারা। গত ১২ সেপ্টেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এর মধ্যে সেই বাঁধও ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে সহস্রাধিক পরিবার রয়েছে ঝুঁকিতে। মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের সহস্রাধিক লোকের পরিবার রক্ষা করতে হলে দ্রুত এ স্থানটিতে একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন বলে জানান স্থানীয়রা। বিগত দিনে এ এলাকার শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণের পাশাপাশি এ স্থানে যদি দ্রুত বাঁধ নির্মাণ না করে, তাহলে বাকি পরিবারের ঘরবাড়ি অচিরেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে দেওয়া বাঁধে ভাঙন ও অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে এ জনপদের মানুষদের মাঝে চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

চরদরবেশ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, চরদরবেশ ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে শতাধিক বাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে ৪০ হাজার মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। স্বেচ্ছায় কাজ করেও কূল পাওয়া যাচ্ছে না। মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণ করা ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

স্থানীয় বাসিন্দা শফি উল্যাহ বলেন, ভাঙনরোধে মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণের বিকল্প নেই। নদীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ডাকাতিয়া খালের মুখে মাটি ভরাট হয়ে যাওয়ার পানি অপসারণে বিঘ্ন হচ্ছে। খালটি যদি পরিকল্পিতভাবে খনন করা হয়, তাহলে ভাঙন রোধে সহায়ক হবে।

স্থানীয় ইতালি মার্কেট সমাজের বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, নদী এখান থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল। বর্তমানে নদী ভাঙার তীব্রতায় এ অঞ্চলের মানুষ রাত হলে একজনও বাড়িঘরে থাকেন না। যদি এখানে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়, তাহলে নদীটি অন্যদিকে প্রবাহিত হবে। বাড়িঘর ও ফসলি জমি রক্ষা পাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, মুছাপুর রেগুলেটর নদীগর্ভে বিলীনের পর শুধু চরদরবেশ ইউনিয়ন নয়, পুরো সোনাগাজী উপজেলার চারপাশে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে উপজেলার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram