হুমায়ুন কবীর রিন্টু, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে চিত্রা নদী ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হচ্ছে গাছপালাসহ বসত বাড়ি। নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের ধোন্দা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙ্গনের ফলে নিঃস্ব হবার পথে কয়েকটি পরিবার। হুমকির মধ্যে পড়েছে নড়াইল-মাগুরা সড়কের কিছু অংশ, গাছপালা ও কিছু বাড়ি-ঘর। নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির পরিমান আরোও বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, টানা বর্ষণ ও নদীতে তীব্র স্রোতের কারনে এ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
ধোন্দা গ্রামের শেখ হারুন এর বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বসত ভিটা নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে মেহেগনি বাগান ও মূল্যবান গাছপালা। চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ধোন্দা গ্রামের হারুন বলেন, নদী ভাঙ্গনে তার বসতভিটার একটা বড় অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী আর মাত্র ২ হাত ভাঙ্গলে তার পাকাবাড়ি নদী গর্ভে চলে যাবে।
ইমরান হোসেন বলেন, দীর্ঘকাল ধরে তারা ওই এলাকায় বসবাস করে আসছে। প্রতি বছর পানি বাড়লে ভাঙ্গন শুরু হয়। এ কারনে তারা অনেকদিন ধরে এ নদী ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে সরকারের কাছে আবেদন করে আসছেন। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তিনি জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধে কাজ করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। অন্যথায় যে কোন সময় তাদের বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হবে পার্শবর্তী বাসিন্দা ও জমির মালিকরা। চরম আতংকে ওই এলাকার মানুষের নির্ঘম রাত কাটছে বলে একাধিক ব্যক্তি জানান।
শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, চিত্রা নদীতে এর আগে কখনও এমন ভাঙ্গন দেখা যায়নি। চিত্রা যে ভয়ংকর রূপ ধারন করেছে, তাতে এলাকার সকলেই আতংকিত। এভাবে ভাঙ্গন চলতে থাকলে ধোন্দা গ্রাম বড় ক্ষতির মধ্যে পড়বে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রকল্প প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য ঢাকা হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে।