শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। সাগরে টিকতে না পেরে শত শত ফিশিংবোট নিয়ে জেলেরা উপকূলের দিকে ছুটে আসছে। অনেক ফিশিংবোট সুন্দরবনের খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
সুন্দরবনের দুবলার ভেদাখালী খাল থেকে বাগেরহাটের বগা এলাকার ফিশিংবোট মাঝি মামুন হোসেন মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোবাইল ফোনে বলেন, বঙ্গোপসাগরের আবহাওয়া খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। সাগর উত্তাল হওয়ায় প্রচন্ড ডেউ ও ঝড়ো বাতাস বইছে। প্রবল ঢেউয়ে সাগরে টিকতে না পেরে ফিশিংবোটবহর মাছ ধরা বন্ধ রেখে উপকূলের দিকে ছুটছে। শতাধিক ফিশিংবোট মঙ্গলবার সকালে দুবলারচরের কাছে সুন্দরবনের ভেদাখালী, মেহেরআলী ও আলোরকোল এলাকার খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, গত দুইদিন ধরে সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগরে জাল ফেলতে না পেরে তাদের মাছ ধরার ট্রলারগুলো উপকূলের দিকে রওয়ানা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধের পরে গত দুই মাসের মধ্যে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা সাগরে এক মাস মাছ ধরতে পারেননি। এ অবস্থায় বোট মালিকদের অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ বছর ইলিশ আহরণ মৌসুমে জেলেরা সাগরে গিয়ে বারবার বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েছে। ৬৫ দিন অবরোধের সময় সাগরের আবহাওয়া ভালো থাকে সে সময় ভারতীয় জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আমাদের দেশীয় জেলে ও ট্রলার মালিকদের বাঁচাতে আগামীতে ভারতের সাথে মিল রেখে একই সময়ে সাগরে ৬৫ দিন অবরোধ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান তিনি।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের জেলে পল্লী দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় মাছ ধরতে না পেরে অনেক ফিশিংবোট সুন্দরবনের ভেদাখালি খাল সহ বিভিন্ন খালে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।