এম মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীতে চলতি মাসে জেলার চারটি উপজেলায় গত দশদিনে ৫টি লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ঘটেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২ টি, গোয়ালন্দ, পাংশা ও কালুখালী উপজেলায় ১টি সহ মোট পাঁচটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ এসব হত্যার সাথে জড়িত ও জড়িত সন্দেহে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব ঘটনার পরিস্থিতি ও ঘটনার কারন অনুসন্ধান করে কিভাবে কারা এ হত্যার সাথে জড়িত সে বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশ সুপার।
বর্তমান পুলিশ সুপার মোছা:শামীমা পারভীন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজবাড়ীতে যোগদান করেন।
এ প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোছা.শামীমা পারভিন বলেন, চারটি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চার জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান। বাকিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে বর্তমানে তিনি রাজবাড়ীতে যোগদানের পর থেকে সব স্থানে টহল জোরদ্বার করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি৷ স্বাভাবিক রাখতে জেলা ও থানা পুলিশ তাদের কর্মতৎপরতা বাড়িয়েছেন।
এ পাঁচটি হত্যায় পাংশার বিলমন্ডপ এলাকায় চামেলী বেগম হত্যা, কালুখালী চর মাধবপুর এলাকায় ভ্যানচালক নাজমুল মোল্লা হত্যা, গেয়ালন্দের কাটাখালীতে চরমপন্থীনেতা শুশিল কুমার সরকার হত্যা, সদর উপজেলার রামকান্তপুরে গৃহবধূ বন্যা খাতুন, সদর উপজেলার বরাটের ভবদিয়ায় ১০বছরের শিশু মিনহাজ শেখকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় নিহত চামেলী হত্যায় তার স্বামী রতন খা, নাজমুল হত্যায় আসামী ছালাম দরি, বন্যা হত্যায় তার স্বামী রশিদ ও শুশিল হত্যাকাণ্ডে জনি মোল্লা নামে এক চরমপন্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংকালে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইফতেখারুজ্জামানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
