টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ ১১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২৫০ জনকে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে জানানো হয়, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে বুধবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর থানা আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। বিচারক পশুপতি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে পরে আদেশের জন্য রাখেন।
মধুপুর উপজেলার মালাউড়ী গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে জাহিদ হাসান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্থানীয় সমন্বয়কদের নেতৃত্বে মধুপুর হাসপাতালের সামনে থেকে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের হয়। মিছিলটি মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে আনারস চত্বরে পৌঁছালে ড. আব্দুর রাজ্জাকের হুকুমে অন্য আসামিরা ছাত্র-জনতার ওপর দা-কুড়াল ও লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে মামলার বাদিসহ বেশকয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. এ. মালেক আদনান জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মধুপুরে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে দন্ডবিধির বেশকয়েকটি ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মাননীয় বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে মামলাটি মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এর আগে টাঙ্গাইলে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সাবেক এমপি তানভীর হাসান ছোটমনির, খান আহমেদ শুভ, ছানোয়ার হোসেন, হাসান ইমান খান সোহেল হাজারী, অনুপম শাহজাহান জয়, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল ইসলাম আলমগীরসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে জেলার একাধিক থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে।