ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লাশ ঘরে পড়ে আছে নরোত্তম বিশ্বাসের (৫০) মরদেহ। পাশে বসে আহাজারি করছেন স্বজনেরা। অসহায় ছেলে বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছেন মৃত বাবার হাত ধরে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় এমন চিত্র দেখা যায়।
পুলিশ ও ঘের মালিক জানায়, মোংলা উপজেলার বুড়ির ডাঙ্গা গ্রামের নিরূপেন বিশ্বাসের ছেলে নরোত্তম বিশ্বাস তিন মাস আগে কেন্দুয়ার বিলে লক্ষণ বর্মনের মৎস্য ঘেরে পাহারার কাজ নেন। ঘেরের সাথের টোঙ ঘরেই তিনি বসবাস করতেন। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে নৌকা যোগে মাছের খাবার দেওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে নৌকার উপর পড়ে যায়। এসময় পাশের ঘেরের লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসনে। এসময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শিমুল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডা. শিমুল হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে পৌঁছানের আগেই নরোত্তম মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তার হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই।’
মৃত নরোত্তমের শশুর পরিচয়দানকারী সন্তোষ তাফালী জানান, তারা গরিব মানুষ। খবর পেয়ে কাজ ফেলে হাসপাতালে এসেছেন। মামলা ও লাশ বাগেরহাটে টানা হেঁচড়া করতে চান না। বাড়ি নিয়ে সৎকার করতে চান।
ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘মৃত নরোত্তম বিশ্বাসের বাড়ি মোংলায়। মারা গেছেন কেন্দুয়ার বিলে যা পার্শবর্তী মোল্লাহাট থানাধীন। কিন্তু নিয়ে এসেছে ফকিরহাট হাসপাতালে। এজন্য আমরা ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট মর্গে পাঠাচ্ছি। ঘের মালিককে মোল্লাহাট থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’